উত্তেজনা তুঙ্গে রেখে নির্বাচনি প্রচারণায় ফিরলেন বাইডেন
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘হোয়াইট হাইস রেস’ থেকে সরে যাবার ডাক দিয়ে বৈঠক করেন জ্যেষ্ঠ ডেমোক্রেট নেতারা। সেই বৈঠকের মুখে নিজের পুর্নির্বাচনের পথকে পরিষ্কার করতে এখনও বেপরোয়া বাইডেন। তিনি আবারও ফিরেছেন নির্বাচনি প্রচারণায়। ওয়াশিংটনে ন্যাটো নেতাদের সম্মেলনের আগে নির্বাচনের যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে পরিচিত পেনসিলভানিয়া রাজ্যে ভোটের প্রচারণার সমাবেশে যোগ দেবেন ৮১ বছর বয়সী এই ডেমোক্রেট নেতা। এর মাধ্যমে উত্তেজনাকর সপ্তাহ শুরু করতে যাচ্ছেন তিনি। খবর এএফপির।
ক্রমশ বাড়তে থাকা উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পাদপ্রদীপের আলোয় থেকে দুটি নির্বাচনি সমাবেশে কথা বলবেন বাইডেন। গত মাসে প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে হতাশাজনক ভূমিকার কারণে তার বয়স ও যোগ্যতা নিয়ে তৈরি হওয়া প্রচণ্ড উদ্বেগের মধ্যেই এই আয়োজন।
তবে, এই সব ঘটনায় বেপরোয়া জো বাইডেন দ্ব্যর্থহীনভাবে বিভিন্ন সমাবেশে, সাংবাদিকদের প্রতি, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘোষণা করেছেন যে, তিনিই একমাত্র প্রার্থী যিনি কিনা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারাতে পারবেন এবং এর জন্য পুরোপুরি উপযুক্তও তিনি। আর এ কারণেই তিনি নির্বাচনের দৌড়ে থাকছেন।
গতকাল শনিবার (৬ জুলাই) বাইডেনের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লেখা হয়, ‘আমি ২০২০ সালে ট্রাম্পকে হারিয়েছি। আমি ২০২৪ সালে সালেও তাকে হারাতে পারব।’
যদিও এবিসি নিউজ টেলিভিশনে গত শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন উত্তেজনার এই পারদ নামাতে ব্যর্থ হয়েছেন। আর তার পরের সবচেয়ে বড় পরীক্ষাটি হতে যাচ্ছে ন্যাটো সম্মেলনের সময় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সংবাদ সম্মেলনে আগামী বৃহস্পতিবার।
এ পর্যন্ত পাঁচজন ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতা বাইডেনকে নির্বাচনি দৌড় থেকে সরে যাবার আহ্বান জানিয়েছেন। তবে, এই আহ্বানের পক্ষে সমর্থন বাড়ছে ক্রমশ।
যুক্তরাষ্ট্রের কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে ফার্স্টলেডি জিল বাইডেন চাইছেন যেন তার স্বামী নির্বাচনি দৌড়ে থাকেন। আর এই উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি আগামীকাল সোমবার জর্জিয়া, ফ্লোরিডা ও নর্থ ক্যারোলাইনাতে নির্বাচনি প্রচারণা চালাবেন।
আজ রোববার ফিলাডেলফিয়া ও হ্যারিসবার্গের সমাবেশের পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ন্যাটো সম্মেলনের কারণে নির্বাচনি প্রচার থেকে কিছুটা দূরে সরে যাবেন। এখানেও তাকে মিত্রদের আশ্বস্ত করতে হবে তার যোগ্যতার প্রশ্নে কেননা বেশকিছু ইউরোপীয় দেশ মনে করছে আগামী নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হতে চলেছেন।
রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ৭৮ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্প বেশ কিছুদিন থেকেই ন্যাটোকে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর অন্যায্য বোঝা হিসেবে সমালোচনা করে আসছেন। বিভিন্ন সময়ে রাশিয়ার লৌহমানব ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসা করেছেন তিনি। পাশাপাশি জোর দিয়ে বলেছেন তিন বছর ধরে চলতে থাকা রুশ আগ্রাসনের কারণে তৈরি হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ইতি টানতে পারতেন তিনি।