আমাদের সেনাবাহিনীতে ভারতীয়দের কখনোই চাইনি : মস্কো
রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে নিয়োগকৃত ভারতীয়দের ফেরত পাঠানোর জন্য ভারত অনুরোধে জানিয়েছিল। সেই অনুরোধে দ্রুত সাড়া দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে মস্কো। সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অনুরোধে রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে কর্মরত সব ভারতীয়কে ছেড়ে দিতে সম্মত হয়েছে মস্কো। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতীয়দের কখনোই আমাদের সেনাবাহিনীতে চাইনি।
ভারতের প্রেসিডেন্ট মোদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আমন্ত্রণ জানালে গত সোমবার দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে মস্কো যান তিনি। এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, সেখানে পুতিনের সঙ্গে এক নৈশভোজে তিনি ইউক্রেইনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর হয়ে ভারতীয়দের অংশগ্রহণের বিষয়টি তোলেন। এই বিষয়ে রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম মন্তব্যে ভারতে রাশিয়ার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রোমান বাবুশকিন গত বুধবার বলেন, মস্কো কখনোই চায়নি যে ভারতীয়রা রুশ সেনাবাহিনীর অংশ হোক। সংবাদ সম্মেলনের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশা করছি শিগগিরই এ বিষয়টির সমাধান হবে।
গত মঙ্গলবার মস্কোয় ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বলেন, রাশিয়ার পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে যে ভারতীয় নাগরিককে রুশ সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে দ্রুত অব্যাহতি দেওয়া হবে। কোয়াত্রা বলেন, ভারতীয়দের কত দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায়, তা নিয়ে দুপক্ষই কাজ করবে।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতীয়দের সৈন্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনাটি পুরোপুরি ‘বাণিজ্যিক বিষয়’ ছিল বলে দাবি করেছে রাশিয়া। বাবুশকিন বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমরা কখনোই চাইনি ভারতীয়রা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর অংশ হোক। তিনি আরও বলেন, ১ভারতীয় সৈন্যদের সংখ্যা কতই বা হবে, ৫০, ৬০ বা ১০০ জন। ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বড় ধরণের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে এই সামান্য সংখ্যা কোনও বিশেষ তাৎপর্য রাখে না।’
বাবুশকিন আরও জানান, সাপোর্ট স্টাফ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া ভারতীয়দের বেশিরভাগই অবৈধভাবে কাজ করছেন কারণ তাদের কাজ করার মতো উপযুক্ত ভিসা নেই। তাদের বেশিরভাগই পর্যটন ভিসায় রাশিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। ইউক্রেনে রাশিয়ার বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ ও রাশিয়ার নাগরিকত্ব দেওয়া হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বাবুশকিন বলেন, ‘চুক্তির বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী এটা হওয়া উচিত।’