গাজার স্কুলে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭
গাজা উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে জাতিসংঘের একটি স্কুলে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও অন্তত ৮০ জন। খবর আলজাজিরার।
সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, গাজার মধ্যাঞ্চলে আজ-জাওয়াইদা শহরে বেসামরিক নাগরিকদের ওপর রাতভর ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় একজন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। গাজা শহরের জয়তুন এলাকাতেও ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এছাড়া গাজা শহরের পূর্বে কাফর আল-মাশরো এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর বোমাবর্ষণে একজন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও অনেকে।
ওয়াফার প্রতিবেদন অনুসারে খান ইউনিস শহরের পূর্বে ইসরায়েলের বোমাবর্ষণে বেশ কিছু লোক হতাহত হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর প্রধান হার্জি হালেভি গাজার আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলি হামলার পক্ষে তার অবস্থান তুলে ধরেছেন। তার কথায় দুজন হামাস কর্মকর্তাকে লক্ষ্য করে ওই হামলা চালানো হয়েছিল। শনিবারের ওই হামলায় বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যুর বিষয়টি তিনি এড়িয়ে গেছেন। হালেভি বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে। আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরায়েলি হামলায় ৯০ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয় যাদের বেশিরভাগই নিরীহ নারী ও শিশু।
গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজা উপত্যকায় ছড়িয়ে পড়া হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৩৮ হাজার ৪৪৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যাদের বেশিরভাগই নিরীহ শিশু ও নারী। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় নিহত হয় এক হাজার ১৩৯ জন ইসরায়েলি নাগরিক। এছাড়া হামাস বেশকিছু ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে আসে যাদের মধ্যে বেশকিছু লোক এখনো তাদের হাতে বন্দি রয়েছে।