থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা
থাই ধনকুবের ও এক সময়ের প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার ৩৭ বছর বয়সী মেয়ে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আজ শুক্রবার (১৬ আগস্ট) ভোট দিয়েছেন থাইল্যান্ডের আইনপ্রণেতারা। খবর এএফপির।
পায়েতংতার্নের বাবা ও ফুপু এর আগে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচিত হওয়ার ফলে তিনি হলেন দেশটির সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। থাইল্যান্ডের স্থানীয় সময় বেলা ১১টা ২০ মিনিটে ভোট প্রদান শুরু হয়। ফৌজদারী মামলায় অভিযুক্ত একজনকে মন্ত্রিসভায় স্থান করে দেওয়ার ফলে প্রধানমন্ত্রী শ্রেত্থা থাভিসিন বরখাস্ত হওয়ার কারণে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় দেশটিতে। থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত গত বুধবার শ্রেত্থা থাভিসিন সরকারকে বরখাস্ত করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার থাইল্যান্ডের পিউ থাই পার্টি পায়েতংতার্নকে প্রধানমন্ত্রীর স্থলাভিষিক্ত করার জন্য নির্বাচন করে। এই কোয়ালিশন সরকারে থাকা অন্য ১০টি দলের কেউই প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য অন্য কোনো নাম প্রস্তাব করেনি। এ ছাড়া তৃতীয় বৃহত্তম দল ভুমজাইথাই জানিয়েছে তারাও পায়েতংতার্নকেই সমর্থন দেবে। এ লক্ষ্যে পার্লামেন্টে ৪৯৩টি আসনের মধ্যে পায়েতংতার্নের প্রয়োজন ছিল ২৪৭টি আসনের ভোট।
এদিকে দল তাকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক প্রতিক্রিয়ায় পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, ‘আমরা আস্থাশীল, এই দল এবং এর সহযোগী দলের জোট সরকার দেশকে নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
২০২২ সালে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা পরিবারের হোটেল ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। ২০২৩ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম পরিচিত মুখ। ওই নির্বাচনে মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গঠন করতে পারেনি। পিউ থাই পার্টি এরপর সরকার গঠনে সামরিক বাহিনী ঘেঁষা বেশ কয়েকটি দলের সঙ্গে জোট তৈরি করে।