শেষকৃত্যের আগে কফিনে জেগে উঠলেন নারী
থাইল্যান্ডের এক বৌদ্ধ মন্দিরে শেষকৃত্যের প্রস্তুতি চলছিল। হঠাৎ কফিনের ভেতর থেকে ধাক্কার শব্দ। কফিন খুলে তো অবাক। কফিনের ভেতরে থাকা নারী জীবিত। পরে তাকে উদ্ধার করা হয়।
গত রোববার (২৩ নভেম্বর) ব্যাংককের ওয়াট রাট প্রাখং থাম মন্দিরে ঘটে এমন ঘটনা। মন্দিরটির ব্যবস্থাপক পাইরাত সুদথুপ সংবাদ সংস্থা এপিকে এ তথ্য জানান।
পাইরাত জানান, কফিনের ভেতর থেকে ধাক্কার ক্ষীণ শব্দ শুনে তারা স্তম্ভিত হয়ে যান। সন্দেহ থেকে কফিন খোলা হলে দেখেন ওই নারী চোখ খোলার চেষ্টা করছেন।
ফিতসানুলোক প্রদেশ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে ব্যাংককে আনা হলেও, ৬৫ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু সনদ ছিল না পরিবারের কাছে। এ কারণে শেষকৃত্য আয়োজন করতে দেরি হচ্ছিল।
পাইরাত বলেন, নারীর ছোট ভাইকে মৃত্যু সনদ সংগ্রহের প্রক্রিয়া বোঝানোর চেষ্টা করছিলাম। তখনই আমরা কফিন থেকে ক্ষীণ শব্দ শুনতে পাই।
তিনি বেঁচে আছেন নিশ্চিত হওয়ার পর মন্দিরের প্রধান ভিক্ষু (অ্যাবট) দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন।
হাসপাতালের এক চিকিৎসক দেশটির স্থানীয় স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানান, ওই নারী মারাত্মক হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় ভুগছিলেন। রক্তে শর্করার মাত্রা বিপজ্জনকভাবে কমে গেলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
ওই নারীর শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতা বা হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন চিকিৎসক।
ভাইয়ের কাছ থেকে পাইরাত জানতে পারেন, গত দুই বছর ধরে তার বোন শয্যাশায়ী। সম্প্রতি তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। গত শনিবার তাকে নিশ্বাস না নিতে দেখে তাকে মৃত মনে করেন পরিবারের সদস্যরা।
মরণোত্তর অঙ্গদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ওই নারী। বোনের ইচ্ছা পূরণের জন্য এত পথ পাড়ি দিয়ে ব্যাংককের এক হাসপাতালে আসেন ভাই। কিন্তু মৃত্যু সনদ না থাকায় হাসপাতাল অঙ্গ নিতে রাজি হয়নি।
ওয়াট রাট প্রাখং থাম মন্দির বিনা খরচে শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করে থাকে। এজন্য রোববার মন্দিরে আসেন ওই নারীর ভাই।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক