যুক্তরাষ্ট্রে ডিমের দাম আকাশছোঁয়া
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/13/eggphokaas_baanlaar_phaail_chbi.jpg)
যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে ডিমের দাম। গড় হিসেবে ডজন প্রতি ডিমের দাম দাঁড়িয়েছে ৬০০ টাকার বেশি (৪.৯৫ ডলার), কোথাও কোথাও এটা এক হাজার ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। দেশটিতে চলমান বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের কারণে এভাবে আকাশছুঁয়েছে ডিমের দাম। মার্কিন শ্রম পরিসংখ্যান ব্যুরোর জানুয়ারি মাসের মাসিক ভোক্তা মূল্য সূচকে ডিমের এই দাম প্রকাশ করা হয়েছে। খবর অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি)।
ডিমের বাজারের এই আগুনের আঁচ বোঝার জন্য যদিও সরকারি পরিসংখ্যানের প্রয়োজন নেই। কিছু কিছু এলাকায় ডিমের ডজন ছাড়িয়েছে ১০ ডলার, বাংলাদেশি মূল্যে যা ১২০০ টাকারও বেশি।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালের আগস্টে রেকর্ড হওয়া সর্বনিম্ন মূল্যের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে বর্তমান দাম। এর আগে দাম বেড়ে গড় প্রতি ডজন দাঁড়িয়েছিল চার দশমিক ৮২ ডলারে। চলতি বছরে সেই মূল্যকেও ছাড়িয়ে গেছে।
ডিমের দামের এই বৃদ্ধি ২০১৫ সালের শেষ বার্ড ফ্লু প্রাদুর্ভাবের পর থেকে সবচেয়ে বেশি। এই দাম বাড়ার কারণে জানুয়ারি মাসে মার্কিন নাগরিকদের খাদ্যব্যয় দুই-তৃতীয়াংশ বেড়েছে বলে জানান তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ীরা ধারণা করছেন, শিগগির না-ও কমতে পারে ডিমের দাম। বরং সামনে স্টার সানডের ছুটিতে আরও লাগামছাড়া হতে পারে এই দাম। দেশটির কৃষি বিভাগ গত মাসেই পূর্বাভাস দিয়েছিল, চলতি বছরে ২০ শতাংশ বাড়তে পারে ডিমের দাম।
সম্প্রতি দেশটিতে কয়েকটি অঞ্চলে বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে পড়েছে। এতে খামারিদের উৎপাদন মূল্য বেড়েছে। আগের চেয়ে উন্নতমানের খাবারের পাশাপাশি প্রয়োজন হয় ওষুধ। এর প্রভাব পড়ে ডিমের দামে।
এ ছাড়াও খামারিরা দেশটির ১০টি রাজ্যে চালু হওয়া খাঁচা-মুক্ত ফার্মে মুরগির ডিম উৎপাদন ব্যবস্থাকে দায়ী করছেন। তাদের ধারণা এতে ওই অঞ্চলগুলোতে ডিমের সরবরাহ কমে গিয়েছে। ফলে বাড়ছে ডিমের দাম।
যুক্তরাষ্ট্রের খামারিদের আর্থিক সাহায্য ও ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কো-ব্যাংকের এক বিশ্লেষক ব্রায়ান আর্নেস্ট বলেছেন, ডিমের দাম বেশি থাকায় যদি ব্যবসায়ীরা মজুত শুরু করে তাহলে সংকট আরও বাড়বে। তিনি বলেন, ‘ডিমের অতিরিক্ত দাম ক্রেতাদের নিরুৎসাহিত করতে পারে।’ তার ধারণা, এতে ডিমের চাহিদা কিছুটা কমলেও দামের ওপর তেমন প্রভাব না-ও পড়তে পারে। ডিমের দাম কমে বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে বলে মত দেন তিনি।