গাজায় ৪৩৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

গত জানুয়ারি মাসের যুদ্ধবিরতির চুক্তিকে বহাল রাখতে বিভিন্ন দেশের সরকারের অব্যাহত আহ্বানের মধ্যেই নতুন করে ফিলিস্তিন অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে ইসরায়েলি বাহিনীর বোমা হামলায় গত দুদিনে ৪৩৬ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হয়েছে। গাজা উপত্যকার বেসামরিক নাগরিকদের প্রতিরোধ বিভাগ আজ বুধবার (১৯ মার্চ) এই তথ্য দিয়েছে। খবর এএফপির।
এদিকে, ইসরায়েলি বাহিনীর বিরামহীন বোমাবর্ষণে ঘরবাড়ি ছাড়া আতঙ্কিত গাজাবাসী এখন অবস্থান করছে উপত্যকার রাস্তাগুলোতে। গাজার উত্তরাঞ্চলের অবস্থান থেকে তার এখন আরও দক্ষিণে সরে যাওয়ার চেষ্টা করছে। শহরটির উত্তরের অংশকে ইসরায়েলি দখরদার বাহিনী ‘যুদ্ধক্ষেত্র’ ঘোষণা করার পর ফিলিস্তিনিরা এখন জীবন বাঁচাতে ছুটছে দক্ষিণে।
এদিকে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা অস্ত্রবিরতি কার্যকর করতে আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছে, তবে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতাকারীদের প্রস্তাবিত তিন ধাপের সমঝোতার বিষয়ে মোটেও রাজি নয়। তাহের আল-নুনু নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘হামাস আলোচনার দ্বার বন্ধ করে দেয়নি তবে আমরা জোর দিয়ে বলছি নতুন করে চুক্তির কোনো প্রয়োজন নেই।’
অন্যদিকে, মধ্যস্থতাকারীরা মার্চের শুরুতে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া অস্ত্রবিরতির বিষয়টিকে কীভাবে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তা নিয়ে অচলাবস্থার মধ্যে রয়েছেন। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র চাইছে প্রথম ধাপের চুক্তিতে শর্ত পরিবর্তন করতে। তবে হামাস চাইছে মূল চুক্তির বাস্তবায়ন যেখানে গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।

তবে প্রথম ধাপের চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে হামাসের অস্বীকৃতিকে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়কে নাকচ করে দেওয়া হিসেবে নিয়েছে। এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অফিস থেকে বলা হয়েছে যে, হামাস বারবার ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তি দিতে অস্বীকার করছে। গত মঙ্গলবার এ বিষয়ে নেতানিয়াহু এক টেলিভিশন ভাষণে বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় হামাস বুঝতে পেরেছে আমাদের শক্তি কতটা, আর এটা সবেমাত্র শুরু।’