বন্দরে বিস্ফোরণের জন্য গাফিলতিকে দায়ী করলেন ইরানের মন্ত্রী
দক্ষিণ ইরানের সবচেয়ে উন্নত কনটেইনার বন্দরে শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ জনে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও সহস্রাধিক মানুষ। বিস্ফোরণের দুই দিন পরেও অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন।
এদিকে, বিস্ফোরণের ঘটনা ‘গাফিলতি’কে দায়ী করেছেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকানদার মোমেনি। রাষ্ট্রীয় টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের তলব করা হয়েছে। ‘নিরাপত্তা সতর্কতা না মানা, অবহেলা ও ত্রুটিবিচ্যুতির কারণে বিস্ফোরণটি ঘটেছে’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। খবর এএফপির।
গত শনিবার ইরানের দক্ষিণে শহীদ রাজাঈ বন্দরে কৌশলগত হরমুজ প্রণালীর কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিশ্বব্যাপী উৎপাদিত তেলের এক-পঞ্চমাংশ জলপথটি দিয়ে যায়।
দেশটির কর্মকর্তারা জানান, সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছেন। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ মানুষকে চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানকারী কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসকানদার মোমেনি। বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা ধরে ওই এলাকায় অবস্থান করা মোমেনি বলেন, অনুসন্ধানকারীরা তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আগুন সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনার পরে ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিস্ফোরণের কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও বন্দরের কাস্টমস অফিস জানিয়েছে, এটি সম্ভবত বিপজ্জনক ও রাসায়নিক পদার্থ সংরক্ষণাগারে আগুন লাগার ফলে ঘটেছে।
এদিকে, রোববার (২৭ এপ্রিল) প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান নিকটবর্তী বন্দরনগরী আব্বাসে আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করেন।
বিস্ফোরণের পরপরই কর্তৃপক্ষ ওই এলাকার সব স্কুল ও অফিস বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাসিন্দাদের বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)