যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৮১

যুদ্ধবিরতির আলোচনা নিয়ে হামাস ও মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ‘ভিন্ন বার্তা’ আসার পরও গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। সোমবার (২৬ মে) ভোর থেকে গাজা জুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৮১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে গাজা শহরেই ৫৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। খবর আল-জাজিরার।
আল-জাজিরার ওয়াশিংটন সংবাদদাতা জানিয়েছেন, হামাস মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে এমন খবরের মধ্যেও ফিলিস্তিনি প্রতিনিধি দল এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পরস্পরবিরোধী তথ্য আসছে। এই ভিন্ন বার্তার মধ্যেই ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা চলমান থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
মানবিক পরিস্থিতি ভয়াবহ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেছেন, গাজার ‘সবাই কষ্ট পাচ্ছে’, কারণ হাসপাতালগুলোতে গুরুতর আহতদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম ফুরিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া ও হামলা তীব্র করায় অসংখ্য মানুষ আহত হচ্ছেন। তাদের চিকিৎসাসেবা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
বাড়ছে মৃতের সংখ্যা
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের চলমান হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৩ হাজার ৯৭৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ২২ হাজার ৯৬৬ জন। তবে, সরকারি মিডিয়া অফিস মৃতের সংখ্যা জানিয়েছে ৬১ হাজার ৭০০ এরও বেশি। এছাড়া ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে আনুমানিক এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলিকে জিম্মি করা হয়েছিল। এরপর থেকেই ইসরায়েল গাজায় ব্যাপক সামরিক অভিযান চালিয়ে আসছে, যা সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে।

এদিকে, সোমবার (২৬ মে) এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শুরু হওয়া আলোচনায় নতুন করে কিছু প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে। এসব প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে, হামাসের হাতে আটক থাকা ১০ জন ইসরায়েলি বন্দির মুক্তি, ৭০ দিন মেয়াদী একটি যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে আংশিকভাবে কিছু ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের মতো বিষয়গুলো।