আদালতের বাধার মুখে ট্রাম্পের সামনে খোলা যে তিন পথ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যাপক শুল্ক আরোপের আদেশ বাতিল করে দিয়েছে দেশটির ফেডারেল আদালত, যা তার অর্থনৈতিক নীতির একটি প্রধান অংশের জন্য বড় ধাক্কা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার (২৮ মে) এই রায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ‘লিবারেশন ডে’ নামে পরিচিত ব্যাপক আমদানি শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে আদালত।
আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কংগ্রেসের হাতে। ফলে প্রেসিডেন্টের এককভাবে এই ধরনের শুল্ক আরোপের অধিকার নেই।
আদালতের এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্পের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হতে পারে, তা নিয়ে তিনটি সম্ভাব্য পরিস্থিতি আলোচনা করা হলো। খবর বিবিসির।
১. উচ্চ আদালতে আপিল : ট্রাম্প এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারেন। প্রথমে এই মামলা ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ইউএস কোর্ট অফ আপিলস ফর দ্য ফেডারেল সার্কিটে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত এটি মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট এর আগে থেকেই প্রেসিডেন্টের ক্ষমতার পরিধি সংক্রান্ত কয়েকটি মামলার রায় বিবেচনা করছেন। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই এই রায়ের আপিলের নোটিশ দাখিল করেছে বলে শোনা যাচ্ছে।
২. শুল্কের আইনি ভিত্তি পরিবর্তন : আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, ট্রাম্প জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে শুল্ক আরোপ করতে পারবেন না। তবে রায়ে এমন কিছু ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যেখানে তিনি অন্য উপায়ে এটি বাস্তবায়ন করতে পারেন। বিচারকরা উল্লেখ করেছেন, কংগ্রেস দ্বারা ১৯৭৪ সালে পাস করা আরেকটি আইন প্রেসিডেন্টকে ‘বৃহৎ ও গুরুতর’ বাণিজ্য ঘাটতি এবং অন্যায় বাণিজ্য অনুশীলনের ক্ষেত্রে ১৫০ দিনের জন্য ১৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ক্ষমতা দেয়। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আমদানি শুল্ক কীভাবে এই রায় থেকে বেঁচে গেল, তাও পর্যালোচনা করবে ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ সেগুলো ১৯৬০-এর দশকের আলাদা আইনের অধীনে চালু করা হয়েছিল।

৩. নীতি থেকে সরে আসা: যদিও এটিকে সবচেয়ে অসম্ভাব্য পথ বলে মনে করা হচ্ছে। ১৯৮০-এর দশক থেকে ট্রাম্প যে অর্থনৈতিক নীতির কথা বারবার বলেছেন, তা থেকে সরে আসা তার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তার বই ‘দ্য আর্ট অফ দ্য ডিল’ এ স্পষ্ট যে, তিনি আলোচনায় সবসময় লড়াই চালিয়ে যাওয়া উচিত বলে বিশ্বাস করেন। তাই ট্রাম্প নিজস্ব নীতি থেকে সহজেই সরে আসবেন বলে মনে হয় না।