ইরান পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে, দাবি ইসরায়েলের

জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সির (আইএইএ) গোপন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ইসরায়েল দাবি করেছে, পারমাণবিক বোমা তৈরির দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইরান। ইসরায়েলের এই দাবি আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
আজ শনিবার (৩১ মে) আইএইএ-এর প্রতিবেদনকে ‘গুরুতর ও স্পষ্ট সতর্কবার্তা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর এএফপির।
এক বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইরান সম্পূর্ণরূপে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি সম্পন্ন করার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এই মাত্রার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুধুমাত্র পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে ইচ্ছুক দেশগুলিতেই দেখা যায় এবং এর কোনো বেসামরিক ব্যবহারিক কারণ নেই।’
আইএইএ-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ইরান ৬০ শতাংশ মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে, যা অস্ত্র-গ্রেড ৯০ শতাংশ মাত্রার খুবই কাছাকাছি। বর্তমানে ইরানের কাছে ৪০৮ দশমিক ৬ কিলোগ্রাম ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম রয়েছে, যা কয়েকটি পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য যথেষ্ট হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ইরান অতীতে তিনটি অঘোষিত স্থানে (লাভিসান-শিয়ান, ভারামিন ও তুর্কুজাবাদ) গোপনে পরমাণু কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এই কার্যক্রমগুলিতে ইউরেনিয়াম ধাতুর পরীক্ষা এবং বিস্ফোরণ-উদ্দীপক সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা একটি সুসংগঠিত পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচির স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি আইএইএ-এর বোর্ড অফ গভর্নরসের আগামী ৯ জুনের বৈঠকে ইরানকে পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার রোধ চুক্তির লঙ্ঘনকারী হিসেবে ঘোষণা করার জন্য একটি প্রস্তাব উত্থাপন করার পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
যদিও ইরান বরাবরই তার পারমাণবিক কর্মসূচিকে শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছে।