দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে লি জে-মিয়ং

কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার পর দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের পথে বামপন্থী প্রার্থী লি জে-মিয়ং। আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) ভোট গ্রহণের পর প্রকাশিত এক্সিট পোলে এই ইঙ্গিত দিয়েছে। দেশটিতে প্রায় তিন দশকের মধ্যে এবারের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল সর্বোচ্চ। খবর এএফপির।
এর আগে দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওল দেশটিতে সামরিক আইন ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু এর ছয় মাসের মাথায় দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি প্রধান সম্প্রচার সংস্থার একটি এক্সিট পোল, যেখানে ভোটারদের সাক্ষাৎকার গ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের আগেই জরিপ প্রকাশ করা হয়।
এক্সিট পোলের তথ্য অনুযায়ী, বামপন্থী ডেমোক্রেটিক পার্টির লি জে-মিয়ং ৫১ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) প্রতিদ্বন্দ্বী কিম মুন-সু ৩৯ দশকি ৩ শতাংশ ভোট পাওয়ার পথে।
এক্সিট পোলের ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরে লি-এর শত শত সমর্থক উল্লাসে ফেটে পড়ে। পার্লামেন্টের অভ্যন্তরে বসে থাকা দলীয় কর্মকর্তারা ‘লি জে-মিয়ং’ বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশটির জরিপগুলোতে কিমের (ইয়ুনের শ্রমমন্ত্রী) চেয়ে অনেক এগিয়ে ছিল লি। কিম তার দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে সংগ্রাম করছেন।
আজকের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল সর্বোচ্চ। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিকেলের দিকে প্রায় ৭৭ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে, যা প্রায় দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ। রাত ৮টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর ব্যালট গণনা শুরু হয়েছে।

ভোট গণনা শেষ হলে ফলাফল ঘোষণার পরপরই দক্ষিণ কোরিয়ার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এটি হয়তো আগামীকাল (বুধবার) সকালেই হতে পারে। তবে নবনির্বাচিত সরকার প্রধানকে বেশ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে।
দেশটির নাগরিকরা বলছেন, তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আগ্রহী। ৬৪ বছর বয়সী ক্যাব চালক চোই সুং-উক এএফপিকে বলেন, ‘আমি আশা করি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট আদর্শগত যুদ্ধের পরিবর্তে শান্তি ও ঐক্যের পরিবেশ তৈরি করবেন।’
২০ বছর বয়সী নোহ মিন-ইয়ং বলেন, এক্সিট পোলের পূর্বাভাসে ‘স্বস্তি’ পেয়েছি। এটি একটি কঠিন পথ ছিল। আমি খুশি কারণ মনে হচ্ছে আমরা গত ছয় মাস ধরে যে জন্য লড়াই করেছি তা আমরা পেয়েছি।’