ইসরায়েলে নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা ইরানের

ইরান ইসরায়েলের ওপর সর্বশেষ হামলায় তাদের নতুন ধরনের ম্যানুভারেবল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে। এটি চলমান সংঘাতের মধ্যে ইরানের সামরিক সক্ষমতার একটি নতুন দিক তুলে ধরল। খবর সিএনএনের।
রাষ্ট্র-অনুমোদিত ফার্স সংবাদ সংস্থার মতে, স্থানীয় সময় রোববার (১৫ জুন) রাতভর একের পর এক হামলার সময় ইসরায়েলে ‘হাজ কাসেম গাইডেড ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ আঘাত হেনেছে।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ গত ৪ মে ইরানি টিভিতে বলেছিলেন, এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি মার্কিন সামরিক বাহিনীর টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড ডিফেন্স এর মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ইসরায়েল অভিমুখে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এটি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ইসরায়েল কর্তৃক নিযুক্ত অন্যান্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে।
ইরানের তাসনিম সংবাদ সংস্থা-এর মতে, মে মাসের প্রথম দিকে ইরান ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করে বলেছিল যে, এটি কঠিন জ্বালানিতে সজ্জিত। এর পাল্লা এক হাজার ২০০ কিলোমিটার ও এটি একটি ম্যানুভারেবল ওয়ারহেড দিয়ে সজ্জিত। যা ক্ষেপণাস্ত্র-প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে পারে। তাসনিম মে মাসের প্রথম দিকে আরও জানিয়েছিলেন, নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি উন্নত ন্যাভিগেশন সিস্টেম দিয়ে সজ্জিত, যা এটিকে লক্ষ্যবস্তুতে সুনির্দিষ্টভাবে আঘাত করতে ও ইলেকট্রনিক যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম করে।
এই ক্ষেপণাস্ত্রটির নামকরণ করা হয়েছে ইরানের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পসের বিশেষ অপারেশন ইউনিট কুদস বাহিনীর সাবেক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি-এর নামে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ইরাকে মার্কিন হামলায় তিনি নিহত হয়েছিলেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি ও ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়া ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। পরে ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা হামলা করা হয় ইসরায়েলে। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপরে হামলা অব্যাহত রেখেছে।