ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি

ইরানের সর্বশেষ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। মোট চারটি স্থানে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো, যার মধ্যে তিনটি মধ্য ইসরায়েলের গুশ দান এলাকায়, যা বৃহত্তর তেল আবিব অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। খবর আল-জাজিরার।
হলনে ভবন ধস ও সোরোকা হাসপাতালে হামলা
হামলার কারণে কিছু ভবনের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হলনে একটি ভবন ধসে পড়েছে বলে জানিয়েছে ইসিরায়েলি গণমাধ্যম। এছাড়া, দক্ষিণ ইসরায়েলের বে'র শেভার সোরোকা হাসপাতালের কাছেও একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে।
সোরোকা হাসপাতাল ইসরায়েলের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বড় হাসপাতাল। গাজার চলমান যুদ্ধের কারণে এই হাসপাতালটিতে বহু আহত সৈন্যকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যদিও হাসপাতালটি সরাসরি লক্ষ্যবস্তু ছিল না, তবে এর পাশের একটি ভবনে আঘাত হানার কারণে হাসপাতালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হামলার ফলে হাসপাতালের ছাদ ধ্বসে পড়েছে।
চিকিৎসা কর্মীরা জনসাধারণকে আঘাতপ্রাপ্ত ভবনের কাছে না যাওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে কেউ আটকা পড়েছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে উদ্ধারকর্মীরা এখনও তল্লাশি চালাচ্ছেন।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই হামলায় ২৫ জন পর্যন্ত আহত হয়েছেন। হতাহতের এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইরানের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তেল আবিব জেলার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (১২ জুন) ভোরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর চিফস অফ স্টাফের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং ইসলামিক রেভ্যুলিউশনারি গার্ডস কর্পসের (আইআরজিসি) প্রধান কমান্ডার মেজর জেনারেল হোসেইন সালামি-সহ বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় সামরিক কর্মকর্তা নিহত হন। এছাড়াও, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের শীর্ষস্থানীয় ছয়জন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হয়েছেন। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইরান কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেয় এবং পরবর্তীতে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালায়। এরপর থেকে দুই পক্ষই একে অপরের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে, যা আঞ্চলিক উত্তেজনাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।