গাজায় সাহায্য প্রবেশে জাতিসংঘের এখন কোনো অজুহাত নেই : নেতানিয়াহু

গাজায় মানবিক সাহায্য বাড়ানোর জন্য সেনাবাহিনীর বিভিন্ন পদক্ষেপ ঘোষণার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এই বিষয়ে প্রথম মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, গাজায় সাহায্য প্রবেশ না করার জন্য জাতিসংঘের আর কোনো অজুহাত এখন নেই। খবর বিবিসির।
একটি ভিডিও বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধ ও হামাসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গেলেও দেশটিকে ‘ন্যূনতম’ মানবিক সরবরাহ প্রবেশের অনুমতি দিতে হবে।
নেতানিয়াহু আরও বলেন, ইসরায়েল সব সময় গাজায় সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। তবে, ফিলিস্তিনিরা যে সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে, তার জন্য জাতিসংঘ তার সরকারকে দোষারোপ করেছে।
নেতানিয়াহু একটি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় বলেন, নিরাপদ পথ আছে। সব সময়ই ছিল, কিন্তু আজ এটি আনুষ্ঠানিক। আর কোনো অজুহাত থাকবে না।
নেতানিয়াহু জোর দিয়ে বলেন, আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। আমাদের যুদ্ধ লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত– সম্পূর্ণ বিজয় না হওয়া পর্যন্ত চলবে।
এদিকে, দীর্ঘ কয়েক মাস পর আবারও গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ত্রাণ ফেলতে শুরু করেছে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)। রোববার (২৭ জুলাই) জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনী (জেএএফ) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জর্ডান সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে মিলে গাজার বিভিন্ন স্থানে মানবিক সাহায্য ও খাদ্য সরবরাহ পৌঁছে দিতে তিনটি বিমান থেকে ত্রাণ ফেলেছে।
জর্ডানের সশস্ত্র বাহিনী আরও জানিয়েছে, বিমান থেকে ফেলা এই ত্রাণে ২৫ টন খাদ্য ও মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ছিল।
তবে কিছু সাহায্য সংস্থা বিমান থেকে ত্রাণ পাঠানোর পদ্ধতিকে ব্যয়বহুল, অদক্ষ ও বিপজ্জনক বলে সমালোচনা করলেও জেএএফ এর পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছে, এগুলো অল্প সময়ের মধ্যে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি অতিরিক্ত উপায়। এর মাধ্যমে যেসব এলাকায় পৌঁছানো কঠিন, সেখানে জরুরি মানবিক ও ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়।