ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক মিসাইল পাঠানোর ইঙ্গিত ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে দূরপাল্লার টমাহক ক্রুজ মিসাইল পাঠানোর বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, “এটি যুদ্ধের এক নতুন পর্যায় বা আগ্রাসনের ধাপ হবে।”
স্থানীয় সময় রোববার (১২ অক্টোবর) এয়ার ফোর্স ওয়ানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “দেখা যাক... আমি হয়তো পাঠাবো।” খবর বিবিসির।
এর আগে সপ্তাহান্তে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ট্রাম্পের দ্বিতীয়বারের মতো ফোনালাপ হয়। সেই আলোচনায় জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালাতে শক্তিশালী সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান।
রাশিয়া বহুবার সতর্ক করেছে যে, যুক্তরাষ্ট্র যদি কিয়েভকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করে, তবে তা যুদ্ধের ভয়াবহতা বাড়াবে এবং ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্ক আরও তিক্ত হবে।
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা প্রায় দুই হাজার ৫০০ কিলোমিটার (১৫০০ মাইল), যার অর্থ ইউক্রেন চাইলে মস্কো পর্যন্ত আঘাত হানতে পারবে।
ইসরায়েলগামী বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প বলেন, “আমি রাশিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারি এই বিষয়টি নিয়ে। আমি হয়তো বলব— যদি যুদ্ধ না থামে, তাহলে আমরা হয়তো এটা করব... হয়তো করব না, কিন্তু সম্ভাবনা আছে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “রাশিয়া কি চায় টমাহক মিসাইল তাদের দিকে যাক? আমার মনে হয় না।”
ইউক্রেন এরই মধ্যে একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে দূরপাল্লার মিসাইল চেয়েছে, যাতে তারা ফ্রন্টলাইন থেকে দূরে থাকা রাশিয়ার শহরগুলোতে হামলা চালাতে পারে।

রাশিয়ার টানা ড্রোন ও মিসাইল হামলায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বহু শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশেষ করে জ্বালানি স্থাপনাগুলো লক্ষ্য করে হামলার ফলে দেশটিতে বারবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে।
গত মাসে ট্রাম্পের বিশেষ দূত কিথ কেলগ ফক্স নিউজকে বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হানার অনুমতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এই যুদ্ধে কোনো জায়গাই নিরাপদ আশ্রয় নয়।”
তবে রাশিয়া বিষয়টিকে গুরুত্বহীন হিসেবে দেখছে। ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেন, “টমাহক হোক বা অন্য কোনো মিসাইল— এগুলো যুদ্ধের গতিপথ বদলাতে পারবে না।”