দুর্বল হয়ে কিউবার উপকূলে আঘাত হেনেছে হারিকেন মেলিসা
জ্যামাইকায় ধ্বংসের চিহ্ন রেখে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) দিনের শুরুতে কিউবার উপকূলে আঘাত হেনেছে পাঁচ ক্যাটাগরি থেকে তিন ক্যাটাগরিতে পরিণত হওয়া হারিকেন ‘মেলিসা’। খবর এএফপির।
ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, জ্যামাইকায় আঘাত হানার আগে ‘ভীষণ বিপজ্জনক হারিকেন’ হিসেবে বর্ণনা করা এই ঘূর্ণিঝড়টির কারণে ওই অঞ্চলটিকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ এলাকা ঘোষণা করা হয়। আর আজ সকালে সেটি কিউবা দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে সান্টিয়াগো ডি কিউবা প্রদেশে আঘাত হানে।
দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় ছয়টি প্রদেশে এর আগে ‘সতর্কতা’ জারি করা হয়। সতর্কতা জারির পরপরই কিউবার অধিবাসীরা উপকূলের এলাকাগুলো ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। অধিবাসীরা জানায় তারা গত সোমবার থেকে খাবার, মোমবাতি ও ব্যাটারি মজুদ করতে শুরু করে।
সান্টিয়াগো ডি কিউবার অধিবাসী গ্রাসিলা লামাইসন বলেন, ‘আমরা রুটি, নডুলস এবং শুকনো মাংস নিয়ে এসেছি। ঘূর্ণিঝড়টি খুবই বিপজ্জনক, তবে আমার তা কাটিয়ে উঠতে পারব।’
কিউবার পূর্বে হাইতিতে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সরকারি অফিসগুলো। কিউবার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, সাত লাখ ৩৫ হাজার লোককে দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডায়াজ-কানেল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেছেন, ‘পুরো কিউবা জুড়ে এটি একটি কঠিন রাত হতে যাচ্ছে, তবে আমরা বিপদ কাটিয়ে উঠবো।’
গতকাল মঙ্গলবার ক্যাটাগরি পাঁচ ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি নিয়ে জ্যামাইকায় আঘাত হানে মেলিসা। এ সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২৯৫ কিলোমিটার। জ্যামাইকায় আঘাত হানার পর সেটি কিছুটা দুর্বল হয়ে আবারও শক্তি সঞ্চয় করে। এর আগে জ্যামাইকার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্ড্রু হলনেস দ্বীপটিকে ‘দুর্যোগপূর্ণ’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেন।
মেলিসা জ্যামাইকায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি করেছে তা অবশ্য এখনও পরিষ্কারভাবে জানা যায়নি। ক্ষতির হিসাব করতে কয়েকদিন লেগে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এখনও সেখানে বিদ্যুৎ নেই এবং টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হচ্ছে।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক