নিউইয়র্ক খরুচে শহর হয়ে উঠেছে, বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি আবারও নগরবাসীর খরচ কমাতে তার নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনবহুল শহরটির মেয়র নির্বাচনে সবচেয়ে প্রতিশ্রুতিশীল প্রার্থী হিসেবে জোহরান মামদানি তার নির্বাচনি প্রচারণার অংশ হিসেবে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। মূলত মধ্যপ্রাচ্য থেকে আসা অভিবাসী নাগরিকদের দৃষ্টি আকর্ষণে এই ভিডিওতে তিনি আরবিতে কথা বলেছেন। ভিডিওতে তাকে ভোট দেওয়ার আবেদন জানান মামদানি। এ ছাড়া তিনি বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর লোকদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন। এ সময় তিনি কসমোপলিটন শহরটির নাগরিকদের জীবনযাত্রা সহজ করার প্রতিশ্রুতি দেন। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

শনিবার প্রকাশিত ওই ভিডিওতে আরবিতে মামদানি বলেন, ‘হ্যালো, আমার নাম জোহরান মামদানি এবং আমি নিউইয়র্ক সিটির পরবর্তী মেয়র হওয়ার জন্য মাঠে নেমেছি।’

আগামীকাল মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) মেয়র নির্বাচনে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মামদানি মজা করে বলেন, ‘এখন আমি জানি, আপনি কী নিয়ে চিন্তা করছেন। নিজেকে আমার দামেস্ক থেকে আসা আপনার শ্যালকের মতো লাগছে, তবে আমার আরবি ভাষা নিয়ে আরও কাজ করতে হবে।’

নিজেকে সমাজবাদী আখ্যা দেওয়া জোহরান মামদানি মুসলিম ও আরব জাতিগোষ্ঠীর অধিবাসীদের উদ্দেশে আরবিতে বলেন, নিউইয়র্ক সবার জন্য খুবই খরুচে শহর হয়ে ওঠেছে এবং এর কারণে এখানে বাস করা অসাধ্য হয়ে উঠেছে।

জোহরান মামদানি বলেন, ‘মেয়র হিসেবে আমি ২০ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য ভাড়া স্থির করে দেব, আমি বাসগুলো দ্রুতগামী করব ও বিনামূল্যে সেবার ব্যবস্থা করব এবং সব পরিবারের জন্য সর্বজনীন শিশুযত্ন নিশ্চিত করব। আমি প্রতিশ্রিুত দিচ্ছি, আপনার ছোট ব্যবসা খোলা, আপনার ভাড়া পরিশোধ করা এবং নিউইয়র্কে নিজের ভবিষ্যত গড়ার পথকে সহজ করতে আমি আমার সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করব।’

মামদানি তার বক্তব্যের শেষ ভাগে এসে বলেন, ‘আমি আপনাদেরই লোক এবং আপনাদেরই জন্য নিবেদিত।’

৩৪ বছর বয়সী জোহরান মামদানি ভারতীয় বংশোদ্ভূত হলেও তার মা রামা সুয়াজি সিরীয় বংশোদ্ভূত।

জোহরান মামদানি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন নিউইয়র্কের সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোর সঙ্গে যিনি একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন। এ ছাড়া মামদানির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়ার সঙ্গেও।