বিয়ের প্রলোভনে সর্বস্ব লুটে নেয় নারী পুলিশ কর্মকর্তা, অভিযোগ ব্যবসায়ীর
ভারতের ছত্তিশগড়ে নারী পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে প্রায় সব কিছু হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনেছেন এক হোটেল ব্যবসায়ী। দীপক ট্যান্ডন নামের ওই ব্যক্তি রায়পুরের প্রখ্যাত হোটেল ব্যবসায়ী। তিনি ২০১৭ ব্যাচের পুলিশ অফিসার ডিএসপি (ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ) কল্পনা ভার্মার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন। খবর এনডিটিভির।
দীপক ট্যান্ডনের দাবি, ২০২১ সালে ডিএসপি কল্পনার সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়। এরপর গত চার বছরে কল্পনা তাকে ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে’ ফাঁদে ফেলেন। এই সময়ের মধ্যে ডিএসপি তার কাছ থেকে নগদ ২ কোটিও বেশি টাকা, দামি গয়না ও তার ব্যবহৃত একটি ইনোভা ক্রিস্টা গাড়ি নিয়েছেন। এছাড়া, তাকে চাপ দিয়ে রায়পুরের একটি হোটেলও ডিএসপির নামে লিখিয়ে নেওয়া হয়েছে।
ট্যান্ডন জানান, তিনি যখন ডিএসপির চাহিদা মেটাতে অস্বীকার করেন। তখন ওই কর্মকর্তা তাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করেন। ট্যান্ডন তার অভিযোগের সপক্ষে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ও সিসিটিভি ফুটেজসহ বেশ কিছু ডিজিটাল প্রমাণ পুলিশকে জমা দিয়েছেন।
যদিও পুলিশ এখনও কোনো এফআইআর দায়ের করেনি। অভিযোগটিকে আপাতত ‘তদন্তাধীন আর্থিক বিবাদ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ডিএসপি কল্পনা ভার্মা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগকে ‘মিথ্যা, বিদ্বেষমূলক ও মানহানিকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, এটি মূলত তার বাবা ও দীপকের মধ্যেকার একটি আর্থিক বিবাদ। তিনি ট্যান্ডনের জমা দেওয়া চ্যাটগুলো ভুয়া বলে দাবি করেছেন। প্রমাণ ছাড়াই তার চরিত্র হননের জন্য মানহানির মামলা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বর্তমানে ছত্তিশগড় পুলিশ এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিটাল প্রমাণ ও ব্যাংক লেনদেন পরীক্ষা করে দেখছেন।

এনটিভি অনলাইন ডেস্ক