পাঁচটি অস্ত্র-গুলিসহ আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নতুন করে অস্থিরতা ও নাশকতা সৃষ্টি করতে দেশি-বিদেশি অস্ত্র-গুলি মজুদ করতে গিয়ে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অভিযানে এক রোহিঙ্গা শীর্ষ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে উখিয়া ১৪ এপিবিএন পুলিশের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ অধিনায়ক পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল এই তথ্য জানান।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান, গতকাল বুধবার রাতে কক্সবাজারের উখিয়া ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বর্ধিত অংশে ১৪ এপিবিএনের একটি আভিযানিক দল এই অভিযান চালায়। এ সময় আব্দুল্লাহকে দেশি-বিদেশি পাঁচটি অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং উখিয়া ৩ নম্বর ক্যাম্পের ডি/৫১ ব্লকের মোদাচ্ছেরের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আরও জানান, মিয়ানমারের রাখাইনে চলমান যুদ্ধ সংঘাতের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী গ্রুপের সদস্যরা নতুন করে অস্থিরতা ও নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছে। সাম্প্রতিককালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গা ভিত্তিক সন্ত্রাসী গ্রুপ মারামারি ও উত্তেজনা সৃষ্টি করছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ১৪ এপিবিএন পুলিশের কাছে গোয়েন্দা তথ্যে খবর আসে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী আব্দুল্লাহ ২০ নং ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে এপিবিএন পুলিশের একটি দল গতকাল বিকেলে ক্যাম্পের একটি শেড থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাঁর কাছে দুটি বিদেশি পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি পাওয়া যায়। এরপর তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে ২০ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন লাল পাহাড়ের ঢালুস্থান এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধার করা হয় একটি দেশীয় তৈরি বড় ওয়ান শুটার গান, মাঝারি সাইজের দুটি ওয়ান শুটার গান ও রাইফেলের ২০ রাউন্ড গুলি, একটি শর্টগানের কার্তুজ, ২০টি রাইফেলের গুলির খোসা এবং তিনটি পিস্তলের গুলির খোসা।
আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে ক্যাম্পে অস্থিরতা ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগেসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানান রাখাইনের যুদ্ধ সংঘাত নিয়ে ক্যাম্পে যেকোনো ধরনের নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টা প্রতিরোধ করা হবে। এ ব্যাপারে পুলিশ ক্যাম্পে সতর্ক রয়েছে।