গাজায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত

যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা চালিয়েছিল। ধারাবাহিক এ হামলার ফলে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথম দিনেও আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর আলজাজিরার।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় অন্তত ১৫১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত আরও ৭২ জন ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় যুদ্ধের প্রথম দিকে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের ১১৬টি মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
হামাসের সাথে শান্তি চুক্তির প্রথম পর্যায়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গুলিবর্ষণ বন্ধ করে এবং আংশিকভাবে এলাকা থেকে সরে যাওয়ার পর, হাজার হাজার জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি উত্তর গাজার ধ্বংসস্তূপীকৃত শহর ও শহরে ফিরে যাচ্ছে।
এদিকে হামাস, ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ ও পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অফ প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) জানিয়েছে, তারা গাজা উপত্যকার ‘কোনো বিদেশি অভিভাবকত্ব’ প্রত্যাখ্যান করে। গাজার কর্মকর্তারা ইসরায়েলের যুদ্ধের সময় যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার একটি স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দিদের সোমবার (১৩ অক্টোবর) মুক্তি দেওয়া হবে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ইসরায়েলের কারাগার থেকে প্রায় দুই হাজার ফিলিস্তিনি বন্দিকেও মুক্তি দেওয়ার কথা রয়েছে।

ইউএনআরডব্লিউএ গাজার সমস্ত ক্রসিং খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েবলেছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গাজায় পৌঁছানোর জন্য ছয় হাজার ত্রাণ ট্রাক প্রস্তুত রয়েছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ত্রাণবাহী লরিগুলোকে গাজায় বাধাহীন প্রবেশ করতে দিতে হবে।
গাজার মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এ যুদ্ধে গাজায় মোট ৬৭ হাজার ৬৮২ জন নিহত ও এক লাখ ৭০ হাজার ৩৩ জন আহত হয়েছেন।