জিম্মিদের মুক্তির পরই ফিলিস্তিনি বন্দিদের ছাড়বে ইসরায়েল

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপ কার্যকর হতে চলেছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি থাকা সকল ব্যক্তি ইসরায়েলি ভূখণ্ডে নিরাপদে পৌঁছার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া শুরু হবে। খবর এএফপির।
আজ রোববার (১২ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র শশ বেদরোসিয়ান সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের জিম্মিরা আগামীকাল মুক্তি পেতে চলেছেন। তারা সীমান্তের পেরিয়ে ইসরায়েলে এসেছেন— এই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরই ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে।
প্রত্যাশা করা হচ্ছে, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গাজায় আটক থাকা সকল জিম্মির মুক্তি প্রক্রিয়া সোমবার (১৩ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হবে। চুক্তির শর্তাবলি অনুযায়ী, হামাস এদিন দুপুরের মধ্যে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর অপহৃত হওয়া অবশিষ্ট ৪৭ জন জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেবে। এর পাশাপাশি, ২০১৪ সালেরও আগে গাজা যুদ্ধে নিহত একজন সেনার দেহাবশেষও তারা হস্তান্তর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুখপাত্র বেদরোসিয়ান জানান, জিম্মিদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী বাসগুলো প্রস্তুত থাকবে। যত তাড়াতাড়ি আমরা নিশ্চিত হব যে তারা (জিম্মিরা) ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছেন, তত দ্রুত সেই বাসগুলো যাত্রা শুরু করবে।
ইসরায়েল আশা করছে, জীবিত থাকা ২০ জন জিম্মিকে একবারে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তাদের ছয় থেকে আটটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তাদের গাজা উপত্যকার ইসরায়েল-নিয়ন্ত্রিত অংশে থাকা ফোর্সের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেখান থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলের রিইম ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হবে, যেখানে তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হবেন।
সেখান থেকে জিম্মিদের চিকিৎসার জন্য ইসরায়েলের তিনটি প্রধান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে। এরমধ্যে শেবা মেডিকেল সেন্টারে ১০ জন, বেইলিনসনে পাঁচজন এবং ইচিলভ হাসপাতালে পাঁচজন চিকিৎসা পাবেন। এছাড়া পূর্ববর্তী যুদ্ধবিরতির সময়গুলোতে ইসরায়েলের আবু কবির ফরেনসিক ইনস্টিটিউটে ময়নাতদন্তের পরে মৃত জিম্মিদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছিল।

যেসব ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে ২৫০ জন নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে আটক ছিলেন। এছাড়াও যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী কর্তৃক গাজায় আটক হওয়া প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন বন্দিও মুক্তি পাবেন।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই শান্তি পরিকল্পনায় ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষই অনুমোদন দিয়েছে।