চঞ্চল চৌধুরীর ‘কারাগার’ : পরিচালক বলছেন, উচ্চাভিলাষী কাজ
আকাশনগর সেন্ট্রাল জেলে ৩২৫ জন কয়েদি। এক দিন হেড কাউন্টের সময় দেখা গেল গোনার বাইরে একজন অতিরিক্ত কয়েদি। কয়েদি কম হলে চিন্তার বিষয়, বেশি হলে আরও চিন্তার বিষয়। কে এই কয়েদি? আর যে সেল কি না গত ৫০ বছর ধরে বন্ধ, সেই ১৪৫ নম্বর সেলে সে কীভাবে এলো?
এই রহস্য খোলাসা হবে হইচইয়ের ‘কারাগার’ ওয়েব সিরিজে। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে কাজ করছেন খ্যাতিমান অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। ইতোমধ্যে এই সিরিজে চঞ্চলের চরিত্রের লুক প্রকাশ হয়েছে।
চরিত্রের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য অনেকটা ওজন ঝরাতে হয়েছে। বসে যাওয়া গাঢ় লাল চোখ, কঙ্কালসার শরীরে চটের তৈরি প্রাচীনকালের কয়েদিদের পোশাক, ছোট করে ছাঁটা চুলে তাঁর যেমন লুক, সে রকম তাঁকে এর আগে কখনও দেখা যায়নি। মূল গল্পের খুব বেশি প্রকাশ না পেলেও এটুকু বোঝা গেছে যে চঞ্চল চৌধুরী একটি রহস্যময় চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
নিজের এই পরিবর্তন সম্পর্কে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘কারাগার সিরিজটি আমার অন্য কাজগুলো থেকে বেশ আলাদা। সিরিজটি বেশ ইন্টারেস্টিং, আর ক্যারেক্টারটা আমাকে ভীষণভাবে আকর্ষণ করেছে। এ ধরনের ক্যারেক্টার ফুটিয়ে তোলার জন্য সবকিছু নিখুঁত হতে হয়। আমি এই চ্যালেঞ্জটা নিতে চেয়েছি। ওজন কমানো, মেকআপের পেছনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করা, কস্টিউম; সব কিছু ঠিকঠাক রাখার জন্য অভাবনীয় এফোর্ট দিতে হয়েছে। আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে জানতাম যে আমরা কী করতে চাইছি। এখন দেখা যাক কাজটা দর্শকদের কেমন লাগে।’
সিরিজের পরিচালক সৈয়দ আহমেদ শাওকির বলেন, ‘কারাগার আমাদের আজ পর্যন্ত করা সবচেয়ে উচ্চাভিলাষী কাজ। প্রায় দেড় বছর আগে এই গল্পের আইডিয়াটা আমাদের মাথায় আসে। কারাগার আমাদের লেখা সবচেয়ে বড় চিত্রনাট্য। এতে রহস্য আছে, ইতিহাস ও নাটকীয়তা আছে। অভিনয়ের পাওয়ার হাউস সব শিল্পীদের আমি আমার সেটে পেয়েছি। এটা সত্যিকার অর্থেই একটি ড্রিম কাস্টিং। এ রকম শিল্পীদের একসঙ্গে পারফর্ম করতে দেখাটা অন্য রকম একটি আনন্দের ব্যাপার।’
‘কারাগার’ সিরিজে চঞ্চল চৌধুরীর পাশাপাশি অভিনয় করেছেন আফজাল হোসেন, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ্, তাসনিয়া ফারিণ, এফ এস নাঈম, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, এ কে আজাদ সেতুসহ আরও অনেকে।
দ্রুতই হইচইয়ে মুক্তি পাবে ‘কারাগার’।