জয়ার চুল ও হাসির কারুকাজে অন্তর্জালে ঝড়
জীবনানন্দ দাশ তাঁর ‘বনলতা সেন’ কবিতায় প্রার্থিত নারীর উদ্দেশে লিখেছিলেন, ‘চুল তার কবেকার অন্ধকার বিদিশার নিশা’ আর মুখের সৌন্দর্যের বর্ণনায় বলেছিলেন ‘শ্রাবস্তীর কারুকার্য’।
আর আজ চুল ও হাসির কারুকাজ দেখিয়ে অন্তর্জালে ঝড় তুলেছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। যদিও জয়ার চুলে নেই জীবনানন্দীয় অন্ধকার, আছে লালচে আভা। তাতেই ‘নিশা’ লেগেছে অন্তর্জালবাসীর মনে। আর মুখ প্রাচীন ভারতের শ্রাবস্তী নগরীর ঝলমলে দিনগুলোর কথাই স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে ভক্তমনে। না হলে তাঁকে ঘিরে এত আলাপন কেন?
একটু ঘন হয়ে যদি দৃষ্টি দেন, তবে দেখবেন জয়ার গৌর মুখাবয়বে ছড়িয়ে পড়েছে লালচে চুল। আবার আলতো করে কামড়েও ধরেছেন দু-আঙুলের সরু মুঠি। আর তাঁর ভুবনভোলানো হাসি থেকে যেন ঠিকরে পড়ছে দুপুরের রোদ। চোখ থেকে গলে পড়ছে জ্বলজ্বলে আবেদন।
কলকাতা থেকে আজ দুপুর ২টা ৩৪ মিনিটে অন্তর্জালে দুটি নতুন লুকের ছবি শেয়ার করেছেন জয়া, যেখানে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৭৩ হাজারের বেশি মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। মন্তব্য পড়েছে ১০ হাজারের বেশি। এক অন্তর্জালবাসী জয়ার উদ্দেশে লিখেছেন, ‘চিরসবুজ কবিতার মতো সুন্দর জয়া/ চোখেমুখে লেখে আছে অদ্ভুত মায়া!’
আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘আমাদের পড়ালেখার পাশাপাশি আপনার বয়সটাও থেমে গেছে।’ এমন অসংখ্য প্রশংসাসূচক বাক্যে ভরে উঠেছে জয়ার মন্তব্য-ঘর। সেসব মন্তব্য নিশ্চয়ই জয়ার মনকে আরও রাঙিয়ে তুলছে ছবি দুটোর মতো।
লাইট ক্যামেরা আর অ্যাকশনের দুনিয়ায় জয় আহসান উড়ছেন দীর্ঘ ১৭ বছর। কালের গণনা শুরু ২০০৪ থেকে। বর্তমানে ওপার বাংলায় নিজের দ্যুতি দেখিয়ে চলেছেন বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী। জয়া নামের মাহাত্ম্য এখন সবার জানা, তিনি রূপে-গুণে অনন্যা। বাকিটা ভক্তের ব্যক্তিগত অভিধানে উহ্য রয়েছে!