হাতখরচ পেতেন না দীপিকা!
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/13/photo-1442127811.jpg)
এ সময় বলিউডে সবচেয়ে বেশি আয় করা অভিনেত্রীর মধ্যে তাঁর নাম আসবে। এখন আয়-উপার্জন যতই হোক না কেন, ছোটবেলা কিন্তু টাকাকড়ি তেমন নাড়াচাড়াই করা হয়নি তাঁর! কারণ হচ্ছে, ছোটবেলায় কোনোরকমের হাতখরচ পেতেন না দীপিকা। এনডিটিভির খবর জানাচ্ছে আদ্যোপান্ত ঘটনা।
দীপিকার বাবা প্রকাশ পাড়ুকোন ভারতের বিখ্যাত ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় ছিলেন। দীপিকা নিজেও খুব ভালো ব্যাডমিন্টন খেলতেন, এমনকি জাতীয় পর্যায়েও নিয়মিত খেলেছেন ব্যাডমিন্টন। ছোটবেলা থেকে লম্বা একটা সময় পর্যন্ত দীপিকার জীবনই ছিল ব্যাডমিন্টন আর পড়ালেখার বাঁধাধরা রুটিনে আটকানো। এর বাইরে আর কোনো কিছুর সঙ্গেই তেমন সম্পৃক্ততা ছিল না তাঁর, এমনকি তেমন কোনো বন্ধুবান্ধবও ছিল না। তাঁর দরকারি জিনিসপত্র বা যেকোনো কিছুর খরচাপাতি—সবকিছুই বাবা নিজ দায়িত্বে করে দিতেন। এ জন্য টাকা-পয়সা কীভাবে খরচ করতে হবে, তা বুঝতেন না দীপিকা; হাতখরচও তাই পেতেন না!
কয়েক দিন আগে একটি ইভেন্টে এই কথা নিজেই জানিয়েছেন দীপিকা। শুধু তাই নয়, টাকা-পয়সার হিসাব এখনো বিশেষ বোঝেন না দেখে বাবাকেই নাকি সব দিয়ে দেন তিনি। ‘আমার সব ধরনের বিনিয়োগের দেখাশোনা বাবাই করেন, আমি এগুলো নিয়ে বিশেষ কিছু জানি না। আমি খুব একটা টেকনোলজি বোঝা মানুষ নই। অ্যাপস কী জিনিস, তা আমি খুব ভালো বুঝি না। আমার জন্য ছবিতে ক্লিক করে সেটা প্রিন্ট করা আর অ্যালবামে বাঁধিয়ে রাখাই সহজ, সেটাই আমি ভালো পারি। আমি যখন ছোট ছিলাম, আমাকে তখন কোনো পকেটমানিও দেওয়া হতো না,’ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন দীপিকা।
‘তামাশা’র ব্যস্ত সময় কাটিয়েই নয়, দীপিকার সামনে জোড়া চ্যালেঞ্জ। ‘দুই’ রণবীরের সঙ্গে তাঁর ছবি মুক্তি পাচ্ছে এ বছরের শেষ দিকে। রণবীর কাপুরের সঙ্গে ‘তামাশা’ই কেবল নয়, রণবীর সিংয়ের সঙ্গে মুক্তি পাবে ‘বাজিরাও মাস্তানি’। চ্যালেঞ্জে উতরে গেলে ২০১৫ নির্দ্বিধায় দীপিকার ক্যারিয়ারের স্মরণীয় এক বছর হতে যাচ্ছে।