বিড়ালের আয় ২৬ কোটি টাকা মাত্র!

মডেলিংয়ের সাথে বিড়ালের সংযোগ খুবই সরাসরি। ‘ক্যাটওয়াক’ শব্দটির সঙ্গে বিড়ালের মতো হাঁটাচলার বিষয়টি যে জড়িত, সেটা ভুললে কি চলে? কিন্তু তাই বলে কোনো বিড়াল যদি মডেলিং করে বছরে দুই মিলিয়ন পাউন্ড কামাই করে (জ্বি, আপনি ঠিকই পড়ছেন, দুই মিলিয়ন পাউন্ড!), তখন আপনি কী বলবেন? শর্টলিস্টের খবরে এই বিস্ময়-বিড়ালের কথা জানা গেল। তার নাম ‘শুপেত’।
মডেল পশুপাখিরা বেশ ভালেঅই পয়সাপাতি কামাই করে। তবে স্বাভাবিকভাবেই, অর্থকড়ির ব্যবহার যেহেতু তাদের নেই(!), তাদের এই উপার্জনের পুরো লাভটাই যায় মালিকের পকেটে। এমনই এক সৌভাগ্যবান মালিক কার্ল ল্যাজারফেল্ড, জাতিতে তিনি জার্মান। পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার কার্লের সাধের বিড়াল শুপেত পশুপাখির ‘মডেলিং’ জগতে বেশ নামডাকওয়ালা। কার্ল জানিয়েছেন, গেল বছর মডেলিং করে শুপেত উপার্জন করেছে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫২ পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ ২৬ কোটি টাকারও বেশি!
এই বিশাল টাকা রাখার জন্য কার্ল একটি অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। সেই অ্যাকাউন্টটিও শুপেতের নামেই নিবন্ধিত। তবে অ্যাকাউন্ট মালিকের বিবরণীতে যে কী আছে তা কার্লই বলতে পারবেন!
বিড়ালের মডেলিং রোলের জন্য এত টাকা কারা খরচ করেছেন, তা ভেবে নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন। তাহলে এবার আপনার আরো চমকানোর পালা। মাত্র দুটো ফটোশুটেই এই পুরো অর্থ কামাই করেছে ‘শুপেত’! জাপানি বিউটি ব্র্যান্ড ‘শু উয়েমুরা’ আর ভক্সহলের ২০১৫ সালের করসা ক্যালেন্ডার- এই দুইয়ের শুটিং করেই ২৬ কোটি টাকা শুপেতের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।
যে মডেলের দর এত উঁচু, তাকে নিয়ে মালিক তো একটু বেশি সচেতন হবেনই। কার্লের ক্ষেত্রেও তাঁর ব্যতিক্রম ঘটেনি। খাবারদাবার বা যেনতেন জিনিসপত্রের মডেলিংয়ে ‘শুপেতকে’ একদমই ‘যেতে’ দেন না কার্ল! ‘এসব ব্যাপারে ও (শুপেত) খুবই সেনসিটিভ, তাই আমি এসব ক্ষেত্রে আমি একদমই অনুমতি দিই না।’-শুপেতের ব্যাপারে খুবই সতর্ক কার্ল।
ও আরেকটা কথা, শুপেতের একটি টুইটার অ্যাকাউন্টও আছে। ‘শুপেত ল্যাজারফেল্ড’ নামের এই অ্যাকাউন্টটির অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার!