অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে কী বললেন পিনাকী ভট্টাচার্য
কোট সংস্কার আন্দোলনের শুরু থেকেই বেশ সরব ছিলেন দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। এমনকি শিক্ষার্থী হত্যার গ্রহণযোগ্য বিচার এবং গণগ্রেফতার বন্ধসহ তাদের বিভিন্ন দাবির সঙ্গে সংহতি জানাতে প্রতিবাদ করতে রাজপথেও নেমেছিলেন তিনি।
কিন্তু পতিত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। হঠাৎ করে হাসিনা সরকারের অনাচার, দুঃশাসনে মোড় নেয় বাঁধনের পক্ষপাতে। কঠিন পরিস্থিতিতে অভিনেত্রীর এমন সাহসী সিদ্ধান্তের তারিফ করতে ভোলেন না নেটিজেনরা।
এদিকে ছাত্র আন্দোলন ঘিরে দেশের বাইরে থেকে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। গতকাল বুধবার সামাজিক মাধ্যমে নিজের কিছু মন্তব্য প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী বাঁধনকে নিয়ে।
হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে বাঁধন সাহসী অবদান রাখায় ফেসবুক পোস্টে পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেছেন, ‘আজমেরি হক বাঁধনের ওপরে আওয়ামী মহল মহা বিলা। তাকে নিয়ে যা খুশি তাই বলছে। কারণ বাঁধন পক্ষ ত্যাগ করেছে। বাঁধন নৌকার লোক বলে বিজ্ঞাপন করেছিল। আমি আমার ভিডিওতে সেটা দেখিয়ে তাকে গালমন্দও করেছিলাম। বলেছিলাম ইন্ডিয়াতে গিয়ে সিনেমা কর, বাংলাদেশে ঠাঁই হবেনা।’
পিনাকী লেখেন, ‘আওয়ামী সমর্থক এমন অনেকেই লড়াইয়ে সহযোদ্ধা হয়েছিল বলেই হাসিনাকে পালাতে হয়েছে। এই জন্যই ডাবল বিলা বাঁধনের ওপরে। ব্যাপার না, ওরা যত বেশি বিলা হবে বাঁধন ফ্যাসিবাদের বিরোধীদের কাছে তত বেশি আপন হবে।’
বাঁধনের উদ্দেশে এই অ্যাক্টিভিস্ট লেখেন, ‘জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণে বাঁধন রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছিল। গণহত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। ওই মুহূর্তেই বাঁধন মহৎ হয়ে ওঠে। বাঁধনের জন্য এই কাজটা খুবই কঠিন ছিল। বিপ্লব সফল না হলে বাঁধনকে পরিণতি ভোগ করতে হতো। সে দ্বিধা করে নি জনতার পক্ষে দাঁড়াতে। ওরা যা খুশি বলুক। ভয় পেয়ো না, মন খারাপ করিও না। ইতিহাসের সঠিক দিকে থাকার হিম্মত আর সৌভাগ্য সবার হয়না।’
পিনাকীর এই পোস্টটির নজর এড়ায়নি বাঁধনের। সেই পোস্টের মন্তব্য ঘরে পিনাকীকে ধন্যবাদও জানান বাঁধন, সঙ্গে পোস্টটি নিজের টাইমলাইনেও শেয়ার করেন। তবে পিনাকী ও বাঁধন, একই পোস্টের উভয়ের মন্তব্য ঘরেই নেটিজেনরা অভিনেত্রীর এই অবস্থানের প্রতি ভূয়সী প্রশংসা করেন।