আইবিএস নির্ণয়ে যেসব পরীক্ষা করা হয়
আইবিএস বা ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রমের সমস্যায় অনেকে ভুগে থাকেন। সাধারণত ডায়রিয়া, আবার কোষ্ঠকাঠিন্য- দুটো সমস্যাই এই রোগীর ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদে হয়ে থাকে। ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সের নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যা হলেও সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি বেশি হয়। সাধারণত লক্ষণ দেখে রোগটি বোঝা যায়। এ ছাড়া রোগ সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।
আইবিএস নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষার বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৬৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আহমেদ উজ জামান। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কী ধরনের পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে আইবিএস রোগটি হয়েছে?
উত্তর : বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগীরা নিজেরাই এসে বলেন যে তার আইবিএস রয়েছে। এটা অনেক সময় তারা আগে থেকে বিভিন্নভাবে জানেন। হয়তো এই সম্পর্কে পড়াশোনা করেন বা অনেক সময় কারো কাছ থেকে শুনে বিষয়টি সম্পর্কে জানেন।
এ ছাড়া পরীক্ষা করেও আমরা রোগ নির্ণয় করি। কেউ যদি বলেন বেশির ভাগ সময় তাঁর কোষ্ঠকাঠিন্য হচ্ছে, অথবা ডায়রিয়া হচ্ছে, তখন আমরা কোলোনোস্কোপি করি। আবার অনেক ক্ষেত্রে এন্ডোস্কোপিও করে থাকি। দেখা যায় তাদের মলদ্বারে কোনো সমস্যা নেই, কিন্তু তারা এই ধরনের অভিযোগগুলো করছে। তখন আমরা কিছুটা সুনিশ্চিত হই যে তার আইবিএস বা ইরিটেবল বাউল সিনড্রম রয়েছে।