আইবিএসে আক্রান্ত রোগীরা কি সম্পূর্ণ ভালো হয়?
ইরিটেবল বাউয়েল সিনড্রোম বা আইবিএস পেটের পীড়াজনিত একটি রোগ। এই রোগে কখনো ডায়রিয়া হয়, আবার কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য হয়। খাবার-দাবারের সঙ্গে এই রোগের একটি সম্পর্ক রয়েছে। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৬৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আহমেদ উজ জামান। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : আইবিএসের ক্ষেত্রে কি খাবার-দাবারের কোনো ভূমিকা রয়েছে?
উত্তর : খাবারের ভূমিকা অবশ্যই রয়েছে। কারণ, আইবিএসের জন্য যে জিনিসগুলোকে দায়ী করা হয়, এর মধ্যে একটি হলো ফুড অ্যালার্জি। অর্থাৎ যেসব খাবারে অ্যালার্জি হয়, সেগুলো থেকে আইবিএস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এর বাইরেও যেটি বলা হয় সেটি হলো, মানসিকভাবে যদি কোনো উদ্বেগ বা বিষণ্ণতা হয়, তখন তাদের সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন : আইবিএসে আক্রান্ত রোগীদের কীভাবে ব্যবস্থাপনা করেন?
উত্তর : আইবিএসে ওষুধের খুব একটা প্রভাব নেই। কিছু জীবনযাপনের পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করতে হয়। তবে কারো ডায়রিয়া হলে এর প্রতিষেধকমূলক ওষুধ আমরা ব্যবহার করে থাকি। যদি কেউ কোষ্ঠকাঠিন্যের ইতিহাস নিয়ে আসে, তাদের ক্ষেত্রে আমরা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য ল্যাক্সেটিভ বা এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে তার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করি। অনেক ওষুধ ইদানীং এসেছে। তবে মূলত তার জীবনযাপনের ধরন পরিবর্তন করে, খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করে এবং সামান্য কিছু ওষুধ খেলে তিনি মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। একেবারেই যে সেরে যাবে, এমন নয়। এটা নিয়ন্ত্রণে রাখার মতো অসুখ। পুরোপুরি প্রতিকারযোগ্য নয়। তবে নিয়ন্ত্রণ করে সুস্থভাবে থাকা যায়।
বর্তমানে আরো ওষুধ এসেছে, যেমন : প্রোবায়োটিক বলা হয়। এগুলোরও কিছু কিছু ভূমিকা রয়েছে। তবে পূর্ণাঙ্গ সুস্থ হওয়ার সুযোগ কম।