এসএলই রোগ হলে কি সন্তান গ্রহণে সমস্যা হয়?
এসএলই রোগে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এই রোগে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সাধারণত তরুণ নারীদের মধ্যে এই রোগ বেশি হয়।
এসএলই রোগ নিয়ে অনেকের মধ্যে বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত রয়েছে। অনেকে ভাবেন, এই রোগ হলে নারীদের সন্তান ধারণে সমস্যা হয়। তবে বিষয়টি কি সঠিক? এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৬৬তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. শামীম আহম্মেদ। বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রিউমাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা মানসিকভাবে একটু বিপর্যস্ত হয়ে থাকে। তাদের ক্ষেত্রে কী পরামর্শ দেন?
উত্তর : আমাদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদিন এসএলই ক্লিনিক হয়। আমরা এদের চিকিৎসা দিই। পাশাপাশি রোগের জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়। অনেক সময় সচেতনতামূলক প্রোগ্রামও আমরা করি পরিবারের লোকদের নিয়ে। অনেক সময় অনেকের ভ্রান্ত ধারণা হয় যে এই রোগ হলে হয়তো তরুণ মেয়েদের বাচ্চা হবে না, বিয়ে হবে না। এই কথা আসলে ঠিক নয়।
বাচ্চা ধারণ করবে কখন? যখন ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত এসএলই রোগটি নিয়ন্ত্রণে থাকবে, তখন বাচ্চা ধারণ করতে পারবে। আর এসএলই রোগ যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে, সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মতো সে সব কাজ করতে পারে, কোনো কিছুতেই তার কোনো নিষেধ নেই, শুধু একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে থাকতে হবে তাকে।
প্রশ্ন : এ ধরনের পরামর্শ যখন দেন, তখন তারা কী ধরনের সাড়া করে?
উত্তর : আগের তুলনায় অনেক ভালো। এটাতে সাড়া দেওয়ার হার অনেক ভালো। আমরা যখন একটি সচেতনতার প্রোগ্রাম করি, তখন পরিবারের লোকজনসহ আসে। লুপাস ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ নামে একটি সংগঠন আছে, যেটি সেখান থেকে কাজ করছে। প্রচুর রোগী এর সদস্য। আমরা চিকিৎসকরাও সরাসরি এতে যুক্ত।