সারা দেশে স্তন ক্যানসার দিবস পালিত
গতকাল ১০ অক্টোবর ছিল স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস। ঢাকাসহ সারা দেশে দিবসটি পালিত হয়েছে। দিবসটির উদযাপন বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৭৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। বর্তমানে তিনি জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউটে ক্যানসার ইপিডেমিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : এবার স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস নিয়ে কী করলেন? এটি নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কি?
উত্তর : আসলে আমরা বাংলাদেশে স্তন ক্যানসার সচেতনতা নিয়ে কাজ করি ২০০৫ সাল থেকে। এর আগে ছোট ছোট আয়োজন ছিল। বড় মাত্রায় আমরা সচেতনতার কাজ শুরু করেছি ২০০৫ সালের পর থেকে। একে কেন্দ্র করে অক্টোবর পুরো মাসটি আমরা যার যার মতো অনুষ্ঠান করতাম। সারা বছরও করতাম। ২০১৩ সালের দিকে আমাদের মনে হলো,এসবের পাশাপাশি একটি দিবস যদি বাংলাদেশে করি তাহলে ভালো হয়। আমরা তখন ১০ অক্টোবরকে বেছে নিলাম। অনেক সংগঠনকে একত্রিত করে কাজ শুরু হলো। প্রথম বছর প্রায় ১২টি সংগঠন যুক্ত ছিল। এখন প্রায় ২১/২২ টি সংগঠন যুক্ত হয়েছে।
আমরা একটি ফোরামও বানালাম। সেটি হলো স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম। এই প্লাট ফর্ম সবার জন্য উন্মুক্ত। যেকোনো সংগঠন আসতে পারে। ১৩ সালে আমরা প্রথম উদযাপন করলাম। ব্যাপক সারা পাওয়া গেল মানুষের ভেতর। তারই পরিপ্রেক্ষিতে পরের বছর আমরা যোগ করলাম পিংক রোড শো। গোলাপি সড়ক শোভা যাত্রা। এটি মনে হয় আরো বেশি মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারল।
২০০৫ সালের দিকে আমরা যখন ক্যানসার সচেতনতার জন্য বলতাম, মানুষ অতটা মনোযোগ দিত না। এখন দেখা যায় চলন্ত গাড়ি থামিয়ে আমাদের কাছ থেকে লিফলেট নিচ্ছে। এই বিষয়টি আমাদের খুব উৎসাহিত করেছে। আর বিশেষভাবে বলতে চাই গণমাধ্যমকে। এই পর্যন্ত আসার জন্য যদি আমাদের কোনো ভূমিকা থাকে, তার চেয়ে বেশি ভূমিকা গণমাধ্যমের। আমাদের কাজকে অনেক বেশি করে মানুষের কাছে তুলে ধরতে পেরেছে গণমাধ্যম।
এই বছর গতকাল ছিল স্তন ক্যানসার সচেতনতা দিবস। গতকাল ছিল পিংক রোড শো।প্রেসক্লাব থেকে ১৫টি পয়েন্টে এটি হয়। ব্যাপক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এবার আমাদের সঙ্গে আরো যোগ হয়েছে রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব। ৬৪টি জেলায় এটি পালন করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন এর কার্যক্রম চলবে।