বিশ্ব দৃষ্টি দিবস
দৃষ্টিশক্তি কী কী কারণে হারায়?
আজ বিশ্ব দৃষ্টি দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘তীক্ষ্ম দৃষ্টি, সুন্দর জীবন’। বিভিন্ন কারণে দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে যেতে পারে, অন্ধ হয়ে পড়তে পারে একজন মানুষ।
দৃষ্টিশক্তি কী কারণে হারায়, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৭৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. মো. মোস্তাক আহম্মদ। বর্তমানে তিনি কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজে চক্ষুবিজ্ঞান বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : সাধারণত কী কী কারণে একটি মানুষ দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলতে পারে?
উত্তর : আলো প্রথমে পড়ে কর্নিয়ায়। সেই কর্নিয়ায় যদি কোনো রোগ থাকে, সাধারণত আমরা কর্নিয়াল ওপাসিটি বলি। কর্নিয়াল ওপাসিটি যেকোনো কারণে হতে পারে। আঘাতের কারণে হতে পারে। ভিটামিন ‘এ’র অভাবে হতে পারে। আরো কিছু প্রচলিত রোগ রয়েছে, সেখান থেকে কর্নিয়াল ওপাসিটি তৈরি হতে পারে। তাহলে আলো কর্নিয়া ভেদ করে ভেতরে যেতে পারবে না। এর পর থাকে লেন্স। লেন্স যেটি থাকে, সে ক্ষেত্রে আমরা বলি চোখে ছানি হয়। ক্যাটারেক্ট যাকে বলি। ছানি হলেও আলোটা রেটিনায় যাওয়াটা বাধাগ্রস্ত হবে। সে ক্ষেত্রে ছানি হলে আমরা কম দেখতে পাব, অন্ধ হয়ে যেতে পারি।
এরপর যেটি মূল অংশ রেটিনা, যেটি দিয়ে আমরা মূলত দেখি, সেটা বিভিন্ন কারণে সমস্যাগ্রস্ত হতে পারে। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগী যাঁরা থাকেন, তাঁদের ডায়াবেটিস রেটিনোপ্যাথি হতে পারে। হাইপার টেনসিভ রেটিনোপ্যাথি হতে পারে। কোনো আঘাতের কারণে অথবা কোনো রোগীর যদি মায়োপিয়া থাকে, তাদের ক্ষেত্রে রেটিনাতে কিছু সমস্যা হতে পারে। একে আমরা বলি রেটিনাল ডিটাচমেন্ট। এসব কারণে সাধারণত মানুষ অন্ধ হয়ে যায়।
প্রশ্ন : যে নার্ভ দিয়ে আলো যাচ্ছে, সেটি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় বা মস্তিষ্কের যেই অংশ দেখতে সাহায্য করছে, সেখানে টিউমার বা অন্য কোনো সমস্যা থাকলে কি অন্ধ হতে পারে?
উত্তর : আসলে অপটিক নার্ভ যেটাতে আমি মূলত দেখি, সেই নার্ভ যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, একে বলা হয় অপটিক অ্যাট্রোপি। অপটিক অ্যাট্রোপি হলে ইরিভারসেবল ভিজুয়াল লস হয়। দৃষ্টি সে আর কখনো ফিরে পাবে না। অথবা মস্তিষ্কে যদি কোনো টিউমার হয় বা ইন্ট্রাকিয়াল প্রেশার যদি হয়, মস্তিষ্কে কোনো প্রদাহ হতে পারে। আমরা ম্যানিনজাইটিস বলি। এনকেফালাইটিস বলি। এ ক্ষেত্রেও নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সেই ক্ষেত্রেও ইরিভারসিবল ভিশন লস হতে পারে।