হেলদি ইটিং কী?
স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার একটি বড় বিষয়। স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার বিষয়টিকে সাধারণত হেলদি ইটিং বলা হয়। এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৭৭তম পর্বে কথা বলেছেন অধ্যাপক মোজাহেরুল হক। তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সাবেক উপদেষ্টা।
প্রশ্ন : হেলদি ইটিং মানে কী?
উত্তর : আমরা যা খাচ্ছি, সেই খাবারটা আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য বা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কতখানি ভালো—সেটা দেখতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াকে আমরা বলব হেলদি ইটিং। মানে যা খাচ্ছি, সেটি আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করছে কি না। আমরা কেবল খাওয়ার জন্য খাচ্ছি না, খাবারগুলো উপকারে আসছে কি না, সে বিষয়গুলো বিবেচনা করতে হবে।
প্রশ্ন : হেলদি ইটিং পর্যায়গুলো কী?
উত্তর : আমরা সকালে তো একটি নাশতা করি, দুপুরে একটি লাঞ্চ করি, সন্ধ্যায় একটি স্ন্যাকস থাকে। আবার রাতে আমরা নৈশভোজ করি। এখন এই যে আমরা যতবারই খাচ্ছি, আমরা কী খাচ্ছি? পানি তো আমরা সব সময়ই খাচ্ছি। আমাদের একজনের নিয়মিত প্রায় ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করা দরকার। আমি যদি এটা দিয়ে শুরু করি, পানিটা স্বাস্থ্যকর পানীয় হচ্ছে কি না দেখতে হবে। একে স্বাস্থ্যকর পানীয় করতে হলে কী করতে হবে? পানির তো অবশ্যই উপকার রয়েছে। আমি একে হেলদি ড্রিকিং যদি করতে যাই, আমি যদি একটি স্লাইস লেমন বা লেবু যদি চিপে নিই বা একে যদি পুরোপুরি এক গ্লাস পানির মধ্যে দিয়ে দিই, এরপর যদি আমি এটি পান করি, এটা আমার জন্য স্বাস্থ্যকর পানীয় হলো। কেন? প্রথম কথা হলো, লেবুর উপকারিতা কী? পানির কিন্তু কোনো ফ্লেভার নেই। পানির কিন্তু আলাদা কোনো স্বাদও নেই। যখনই আমি লেবুটা দিলাম, তখনই সেটি ফ্লেভারড হয়ে গেল এবং স্বাদের হয়ে গেল। সঙ্গে ভিটামিন সি যুক্ত হলো। এটি কিন্তু ডিটক্সিফাইজ। এটি আমাদের শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের করতেও সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি একটি মূল্যবান ভিটামিন। এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। সে রকম একটি ভিটামিন এর মধ্যে রয়েছে। তাহলে ছয় থেকে আট গ্লাস পানি পান করা মানে আমি যেই পানিটা পান করলাম, সেটি স্বাস্থ্যকর খাবার।
এখন অস্বাস্থ্যকর খাবার কী? অস্বাস্থ্যকর খাবার রয়েছে। আমরা বাজার থেকে প্রচুর পরিমাণ কোমল পানীয় পান করি। আরেকটি লক্ষণীয় জিনিস হলো, আমরা অনেকে কিন্তু প্যাকেটের ড্রিংস পাই। এখন আমাদের মনে রাখতে হবে, এগুলো কোনোটাই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের পর্যায়ে পড়ে না। কারণ, লেভেলিংয়ে যা যা জিনিস রয়েছে, সেগুলো সেই পরিমাণে থাকলেও আমাদের জন্য অনেক সময়ে স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কালারিং এজেন্ট, প্রিজারভেটিভ এগুলো আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। কালারিং এজেন্টেরও প্রয়োজন নেই, ফ্লেভারেরও প্রয়োজন নেই। প্রিজারভেটিভ কিন্তু আমাদের শরীরে লাগে না। সুতরাং এটি স্বাস্থ্যকর ড্রিংকস হবে না। সুতরাং আমাদের এটি এড়িয়ে যেতে হবে। এখন আসি আমাদের খাবারের বেলায়।