দুশ্চিন্তার কারণে কি চুল পড়ে?
চুলপড়া একটি স্বাভাবিক সমস্যা। অনেকে ভাবেন দুশ্চিন্তার কারণে চুল পড়ে। আসলে কথাটি কি সঠিক, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৮৩তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. জাহেদ পারভেজ। বর্তমানে তিনি শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের পরামর্শক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মানসিক দুশ্চিন্তার কারণে কি চুল পড়ে?
উত্তর : এটা কিছুটা হলেও সত্য। মানসিক চাপের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মেটাবলিক সিস্টেমের (বিপাক পদ্ধতি) একটি বিষয় কাজ করে। এতে চুলের জন্য যে পুষ্টি দরকার সেটা পর্যাপ্ত ভাবে আসে না। চুলের স্বাভাবিক যত্ন যেটা, সেটা হচ্ছে না, এর কারণে কিছু চুল পড়তে পারে। তবে অতিরিক্ত মাত্রায় পড়ার কথা নয়।
প্রশ্ন : অনেক সময় একটি জায়গায় চুল পড়ে, আরেকটি জায়গায় চুল পড়ে না। এ রকম হয় কেন?
উত্তর : মাথার ফ্রন্টাল সাইডের দুই এঙ্গেল থেকে বা ক্রাউন থেকে যদি যায়, একে আমরা এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেসিয়ায় ফেলতে পারি। এর জেনেটিক একটি প্রি ডিসপোজিসন হতে পারে। অন্যান্য কিছু কারণে সমস্যা হতে পারে। আপনি জানেন যে একে আমরা অটো ইমিউন রোগ বলি। অনেকে অনেক কথা বলে, রোগী এসে অভিযোগ করে যে কোনো পোকা খেয়েছে বা কোনো কিছু লেগেছে, আসলে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানে জানি, অটো ইমিউন রোগ হিসেবে অ্যালোপেসিয়া চিহ্নিত হয়। এক একটা চুল পড়ার ধরন অনুযায়ী এক এক রকম চিকিৎসা ব্যবস্থা। যেমন এন্ড্রোজেনেটিক এলোপেসিয়ায় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা রয়েছে। মুখে খাওয়ার ওষুধ, পাশাপাশি পিআরপি থেরাপি, শেষ পর্যন্ত ট্রান্সপ্ল্যান্ট পর্যন্ত আমরা করতে পারি। অ্যালোপেসিয়ার ক্ষেত্রে ট্রান্সপ্ল্যান্ট বা অন্য কোনো ওষুধ কাজ করবে না। অন্যান্য ওষুধ দেওয়া লাগবে। এ ধরনের আধুনিক অনেক চিকিৎসা রয়েছে। আর ডিফিউজ হেয়ার লসের ক্ষেত্রে আমার মনে হয়, কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন। ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট, আয়রন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া হয়।
চিকুনগুনিয়ার পর চুল পড়ার সমস্যা আমরা অনেক পাচ্ছি। সঙ্গে কিছু র্যাশ থাকে। তাদের ক্ষেত্রেও পুষ্টিটা একটি বিষয় হিসেবে কাজ করে।