লিভার সিরোসিসের লক্ষণ কী
লিভারের প্রদাহ লিভার সিরোসিসের কারণ। লিভার সিরোসিসের লক্ষণ সাধারণত প্রাথমিক অবস্থায় বোঝা যায় না। তবে অগ্রবর্তী পর্যায়ে লক্ষণগুলো বেশ ভালোভাবে প্রকাশ পায়।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৩৮৭তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের লিভার বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক আহমেদ।
প্রশ্ন : লিভার সিরোসিসের লক্ষণ বা উপসর্গ কী?
উত্তর : লিভার সিরোসিসের ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে লক্ষণ অনেকের ক্ষেত্রে বোঝা যায় না। কোনো লক্ষণ ছাড়াই ধীরে ধীরে লিভারের মধ্যে প্রদাহ হতে থাকে। তবে এটি যদি বেড়ে যায়, তখন দেখা গেছে কারো পেটে পানি চলে আসে বা পায়ে পানি আসতে পারে। তার ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে। শরীরে দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। এই জাতীয় সমস্যা নিয়ে সাধারণত লিভার সিরোসিসের রোগীরা চিকিৎসকের কাছে আসে।
প্রশ্ন : তাহলে কি প্রাথমিক পর্যায়ে বোঝার কোনো সম্ভাবনা নেই?
উত্তর : দুভাবে বোঝা যেতে পারে। প্রাথমিকভাবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে লিভার সিরোসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে জন্ডিস দেখা দিতে পারে। অথবা অন্য কোনো কারণে হয়তো সে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে গিয়েছে, এই অবস্থায় তার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়েও এটি ধরা পড়তে পারে।
প্রশ্ন : আপনাদের কাছে যখন সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন, তখন কী ধরনের পরামর্শ দেন বা পরীক্ষা করতে বলেন।
উত্তর : আগে তো শারীরিকভাবে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি। তখন দেখি যে তার মধ্যে অসুখের লক্ষণ আছে কি না। পাশাপাশি আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি কী কারণে তার লিভার সিরোসিস হয়েছে। এখানে দুটো বিষয়। একটি হলো তার কারণ দেখা। আরেকটি হলো সিরোসিস রোগের কতটুকু কোন অবস্থায় আছে। সেগুলো দেখার জন্য আমরা কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করি। এর মধ্যে কিছু রক্তের পরীক্ষা করা হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম, এন্ডোস্কোপি করা হয়। এগুলো করে আমরা তার অসুখের মাত্রা নির্ণয় করি। কারণটিও খুঁজে নিই। কারণের ওপর নির্ভর করছে চিকিৎসাটি। চিকিৎসা দুই ধরনের। কারণ নির্ণয় করতে পারলে সেটার চিকিৎসা করা হবে। পাশাপাশি লক্ষণ যে প্রকাশ পাচ্ছে বা সিরোসিসের যে জটিলতা হচ্ছে, সেই জটিলতাগুলো কমানোর জন্যও কিছু কিছু চিকিৎসা করা হয়।