হঠাৎ ইরান সফরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট, খামেনি-রায়িসির সঙ্গে বৈঠক
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2022/05/08/iraan-siriyyaar.jpg)
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ আজ রোববার ইরান সফর করেছেন। রাজধানী তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি ও প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসির সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা ও ইরানের পার্সটুডে আজ রোববার এ তথ্য জানিয়েছে।
বৈঠকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, ‘সিরিয়ার জনগণ ও সরকারের প্রতিরোধ এবং একটি আন্তর্জাতিক যুদ্ধে তাদের বিজয় সেদেশের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে। আজকের সিরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধপূর্ববর্তী সিরিয়ার পার্থক্য রয়েছে। এটা ঠিক যে, ঐ সময় ধ্বংসস্তুপ ছিল না, কিন্তু বর্তমানে দেশটির সম্মান ও মর্যাদা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে। সবাই এই দেশকে একটি শক্তি হিসেবে গণ্য করছে।’
বাসার আল-আসাদকে উদ্দেশ্য করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের ও আপনাদের প্রতিবেশি দেশগুলোর কিছু নেতা ইহুদিবাদী ইসরায়েলের নেতাদের সঙ্গে ওঠবস করেন, একসঙ্গে বসে কফি খান। কিন্তু এসব দেশের জনগণই বিশ্ব কুদস দিবসে ব্যাপক সংখ্যায় রাস্তায় নেমে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন। এটাই এখন এই অঞ্চলের বাস্তবতা।’
আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধে সিরিয়ার বিজয়ের পেছনে নানা কারণ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ হলো আপনার (বাসার আল-আসাদ) উচ্চ মনোবল। এই মনোবল নিয়েই আপনি যুদ্ধের ক্ষতি পুষিয়ে দেশ পুনর্গঠন করতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ। কারণ আপনার সামনে আরও অনেক বড় বড় কাজ রয়েছে।’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2022/05/08/iraan-siriyyaa-insaartt.jpg 687w)
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের সাবেক প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির কথা স্মরণ করে আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেন, ‘সিরিয়ার বিষয়ে শহিদ সোলাইমানির বিশেষ ধরনের সমর্থন ও সহযোগিতা ছিল। প্রকৃতপক্ষেই তিনি সেখানে আত্মত্যাগ করছিলেন। সিরিয়ায় তার আচরণ ও তৎপরতা ইরানের আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষা যুদ্ধের সময়ের আচরণ থেকে আলাদা ছিল না। শহিদ সোলাইমানি ও আইআরজিসির অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তি যেমন শহিদ হামেদানি সিরিয়া ইস্যুতে কাজ করাকে পবিত্র ও অবশ্য পালনীয় দায়িত্ব বলে গণ্য করতেন।’
দুই দেশের সম্পর্ক আরও উন্নত করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ইরান ও সিরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ও বন্ধন উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্পর্ককে দুর্বল হতে দেওয়া যাবে না বরং যতটুকু সম্ভব জোরদার করতে হবে।’
পার্সটুডের প্রতিবেদনে বলা হয়, সিরিয়ায় যুদ্ধে সহযোগিতা করছে ইরান। এই সহযোগিতা ও সমর্থনের জন্য আন্তরিকভাবে ইরানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন বাসার আল-আসাদ। চার বছর আগেও একবার ইরান সফর করে তাদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ইরানের জনগণ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ইরানের সর্বোচ্চ নেতা ও প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক শেষে আজ রোববারই বাসার আল-আসাদ সিরিয়ায় ফিরে গেছেন।