ছানার পানি ফেলে দেওয়া কি ঠিক?
ছানা একটি পুষ্টিকর খাবার, সন্দেহ নেই। দুধ থেকে ছানা কাটিয়ে তোলার সময় শুধু ছানাটুকু তুলে রেখে ফেলে দেওয়া হয় ছানার পানি।
অনেকেই হয়তো জানেন না, ছানার পানিতেও থাকে অনেক রকম পুষ্টিকর উপাদান। ছানার পানিকে তুলনা করা যায় অনেকটা ভাতের মাড়ের সঙ্গে। ভাত রান্নার পর ভাতের মাড়কে পুষ্টিকর জেনেও যেমন আমরা ফেলে দিই, তেমনি অবস্থা এই ছানার পনির। দুটিরই শেষ গন্তব্য নর্দমা। ভাবতে খারাপ লাগে যে পুষ্টিজ্ঞানের অভাবে ছানার পানির পুষ্টিকে আমরা কাজে লাগাতে পারি না। অথচ ছানার পানির রয়েছে পুষ্টি পূরণের ক্ষমতা। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের কাছে ছানার পরিচয় কেজিন নামে একটি প্রোটিন হিসেবে। সাধারণের কাছে এটি পরিচিত সন্দেশ, রসগোল্লার মতো মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রধান উপকরণ হিসেবে।
অন্যদিকে ছানার পানিতে থাকে অ্যালবুমিন, গ্লোবিউলিন নামক দুটি প্রোটিন; থাকে ল্যাকটোজ, শর্করা ও কিছু স্নেহজাতীয় পদার্থ। ছানা ও ছানার পানিতে যেসব খাদ্য উপাদান থাকে, দুধেও প্রায় একই উপাদান থাকার কথা।
ছানার পানিতে যে শুধু প্রোটিন থাকেই তা নয়, এর মধ্যে থাকে রিবোফ্লেভিন নামক ভিটামিন। এই ভিটামিনটি আমরা মুখে ঘা হলে গ্রহণ করে থাকি।
শরীর গঠনে ছানার পানির যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। অথচ পুষ্টি জ্ঞানের অভাবে সেই ছানার পানিকে ঢেলে ফেলে দিচ্ছি ড্রেনে। এখন আপনিই বলুন ছানার পানি ফেলে দেওয়া কি ঠিক?
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিকেল কলেজ।