শিশুর শ্বাসকষ্টে কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
শীতে সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা বাড়ে। এই ধরনের সমস্যায় কখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে এই বিষয় নিয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৯২৫তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. আবিদ হোসেন মোল্লা। বর্তমানে তিনি বারডেম হাসপাতালের শিশু বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : যখন একটি বাচ্চার সর্দি হচ্ছে, কাশি হচ্ছে, শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, তখন কী করণীয়? কখন যাওয়া উচিত একজন চিকিৎসকের কাছে?
উত্তর : যদি শরীরে অন্য কোনো ঘাটতি না থাকে, তাহলে কিন্তু নিউমোনিয়া বারবার হয় না। অ্যাজমা এমনই একটি সমস্যা, যেটি একবার হলে বারবার হওয়ার প্রবণতা থাকে। একবার যখন এই ধরনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়, তখন ফুসফুসের ভেতর কিছু পরিবর্তন হয়। সেখানে প্রদাহ হয়। একটি সময় ফুসফুসের নমনীয়তা আস্তে আস্তে কমে যায়। এটি হলো বড় সমস্যা। এখন একটি বাচ্চা যখন বারবার অ্যাজমায় ভোগে, প্রাথমিকভাবে শ্বাসতন্ত্র যেগুলো ছোট হয়ে যায়, সেগুলোকে ডাইলেট করার জন্য আমরা ওষুধ দিয়ে দিই। সেই ওষুধগুলো আমরা ইনহেলার ফর্মে দিই। মা-বাবারা কিন্তু নিতে চান না। তাঁরা ভয় পান। নানা গবেষণায় দেখা গেছে, ইনহেলার নিলে কাজটা ভালো হয়। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম হয়। মা-বাবারা কিন্তু অনেক সময় ভুল বোঝেন। এই জিনিসটা যদি তারা গ্রহণ করেন বাচ্চার যে উদ্দেশ্য ওষুধ গ্রহণ সেই কাজটি কিন্তু ভালো হবে। পক্ষান্তরে ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হবে অনেক কম। ইনহেলার ভালো। কেউ যদি না নিতে পারে, তার জন্য আমরা কিন্তু মাস্কের মাধ্যমে দিই। এর জন্যও আমাদের কাছে ডিভাইস রয়েছে। তবে ইনহেলার হলো প্রথম পছন্দ। আর এটি যদি নেওয়া না যায়, তাহলে মুখে করে সালবিউটামল ওষুধ আমরা দিই। এতে কাজ হয়। কখনো কখনো রোগের তীব্রতা অনুযায়ী এই সালবিউটামল ওষুধে সঙ্গে অন্যান্য ওষুধ, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ, অক্সিজেন দেওয়া হয়। সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে এটি ঠিক হয়ে যায়।
তবে যখন দেখা যায় যে দেওয়ার পরও তীব্রতা আস্তে আস্তে বাড়ছে, তখন প্রয়োজনবোধে কখনো হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এতে করে যে অক্সিজেন ঘাটতি হয়, সেটি যেন পূরণ করা যায়। সেখানে অবস্থা বুঝে স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ দেওয়া হয়। এগুলো দিয়ে তাকে আবার সুস্থ করে তোলা হয়।