এলচেকে উড়িয়ে শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে বার্সালোনা
লা লিগায় সময়টা দুর্দান্ত কাটছে স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার। ছন্দে রয়েছে ফুটবলাররা, যার ফল মিলছে মাঠে। এবার টেবিলের তলানির দল এলচের মাঠে গোল উৎসব করল কাতালানরা। গতকাল শনিবার (১ এপ্রিল) দিনগত রাতে রবার্ট লেভানডোভস্কির জোড়া গোলে বড় জয় পেয়েছে বার্সা।
এলচের মাঠে তাদেরকেই ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করে লেভাম তোরেস ও ফাতির সমন্বয়ে গড়া বার্সেলোনা। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদকে ১৫ পয়েন্টে পেছনে ফেললো কাতালান জায়ান্টরা, আরও একধাপ এগিয়ে গেল শিরোপার পথে।
ম্যাচের শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করলেও বার্সেলোনাকে স্বাগতিকদের জমাট রক্ষণের বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষায় পড়তে হয়। ম্যাচের প্রথম ভালো সুযোগের জন্য বার্সাকে অপেক্ষা করতে হয় ২০তম মিনিট পর্যন্ত। আর প্রথম সুযোগেই বাজিমাত বার্সার। জর্দি আলবার ফ্রি-কিকে ডি-বক্সে রোনাল্ড আরাউহো হেড করার পর বল পেয়ে যান রবার্তো লেভানদোভস্কি। ডান পায়ের কোনাকুনি শটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এই পোলিশ ফরোয়ার্ড। এরপর ম্যাচের ৪২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন লেভানদোভস্কি। ফেরানের ক্রসে বক্সের ভেতর থেকে হেড টার্গেটে রাখতে পারেননি তিনি। এরপর বাকি সময়ে আর তেমন কোনো আক্রমণ করতে না পারায় ১-০ ব্যবধানের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বার্সা।
বিরতির পর দ্বিতীয়ার্ধের ষষ্ঠ মিনিটে মার্কোস আলনসোকে গোলবঞ্চিত করেন এদগার বাদিয়া। মিনিট পাচেক পরেই দলকে আর রক্ষা করতে পারেননি এলচে গোলরক্ষক। স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড ফাতি দ্বিগুণ করেন ব্যবধান। ফেরানের কাছ থেকে বল নিয়ে চ্যালেঞ্জবিহীনভাবে সামনে এগিয়ে যান তিনি। এরপর ডি-বক্সের বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে ভেদ করেন নিশানা। এরপর ম্যাচের ৬৬তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান লেভানদোভস্কি। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে গাভি খুঁজে নেন তাকে। ডি-বক্সে ঢুকে বাকিটা সারেন লেভানদোভস্কি। এবারের লিগে এটি তার ১৭তম গোল।
এর চার মিনিট পর বার্সার জয় একরকম নিশ্চিত করে ফেলেন ফেরান। লেভানদোভস্কির বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ডি-বক্সে যান তিনি। এরপর বাঁ পায়ের দারুণ শটে করেন গোল। বাকি সময়ে ভালো খেলেও গোল মেলেনি এলচের।
এ ম্যাচের আগেই রিয়াল থেকে ১২ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে শিরোপা অনেকটাই নিশ্চিত করে রেখেছে কাতালান ক্লাবটি। এবার সেই ব্যবধানটা ১৫ পয়েন্টে নিয়ে গেল তারা। যদিও বার্সালোনা একটি ম্যাচ বেশি খেলেছে, তাই রিয়ালের সামনে সুযোগ থাকছে ব্যবধান আবারও ১২তে নিয়ে আসার।