ফেডারেশন কাপের ভবিষ্যৎ কী?
তেত্রিশতম ফেডারেশন কাপ ফুটবলের উদ্বোধনী দিনে দুটি ম্যাচের একটিও মাঠে গড়ায়নি। তবে, ম্যাচ না হলেও সব আনুষ্ঠানিকতা ঠিকই হয়েছে। মাঠে গেছেন রেফারিরা। পালন করা হয়েছে ফিফার নিয়মনীতি। দুই দলের দুই প্রতিপক্ষ না আসায় নিয়ম অনুযায়ী ১৫ মিনিট পর রেফারি শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।
দিনের প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরার কিংস মাঠে না আসায় খেলতে পারেনি প্রতিপক্ষ স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। পরের ম্যাচে উত্তর বারিধারা মাঠে না আসায় মাঠে নামা হয়নি আবাহনী লিমিটেডেরও। দুই প্রতিপক্ষ মাঠে এসে না খেলেই ফিরে যেতে হয়েছে।
উদ্বোধনী দিনের দুটি ম্যাচের একটিও না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে টুর্নামেন্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে। গতকাল শনিবার কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে তখন সংবাদমাধ্যমে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি ও প্রফেশনাল লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘গত ৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত পেশাদার লিগ কমিটির সভায় ১২ দলই মাঠ সংকট ও সীমাবদ্ধতার মেনে কমলাপুরে স্বাধীনতা ও ফেডারেশন কাপ খেলতে সম্মতি দিয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে এ মাঠে স্বাধীনতা কাপ হয়েছে এবং সে ধারাবাহিকতায় ফেডারেশন কাপ আয়োজন করি। দুটি দল আসেনি, দুটি ম্যাচ হয়নি। এখন বাইলজ অনুযায়ী যা হওয়ার তাই হবে। যারা এসেছে তারা পূর্ণ পয়েন্ট পাবে এবং গোলের একটা ব্যাপারও আছে।’
গতকাল না হওয়া দুটি ম্যাচ নিয়ে সালাম মুর্শেদীর ব্যাখ্যা, ‘আমাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কিছু নেই। পেশাদার লিগ মিটির সভায় ক্লাবগুলার সঙ্গে বসেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পরবর্তীকালে কোন ক্লাব সিদ্ধান্ত বদলাবে, সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। টুর্নামেন্টে কোনো পরিবর্তন হবে না। কাল ম্যাচ না হলে তখন দেখা যাবে কী করা যায়। যারা আসেনি, তারাই ভুল করেছে। এখন যাই হবে, সব বাইলজ অনুযায়ী।’
সহসভাপতি আরও বলেন, ‘এখন আর কথা বলার সুযোগ নেই। রেফারি যখন মাঠে নামে, দল চলে আসে। সব কিছু বাইলজ অনুযায়ী হয়, এখন এটা ডিসিপ্লিনারি কমিটির কাছে চলে যাবে। বাইলজে যা আছে, ডিসিপ্লিনারি কমিটি সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেবে।’