ভারতীয় অধিনায়কের যে আপত্তিকর মন্তব্যে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয় নিগার-মারুফারা
মাঠে ভারতীয় ক্রিকেটারদের অতি আক্রমণাত্মক আচরণ সম্পর্কে ক্রিকেট ভক্তদের কম-বেশি সবারই জানা। ভারতের জাতীয় দল কিংবা বয়সভিত্তিক দল, সব পর্যায়ের ক্রিকেটারদের মাঝেই এমন আক্রমণাত্মক ভঙ্গি হরহামেশাই দেখা যায়। এবার নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তো রীতিমত অভদ্রতার চূড়ান্ত সীমা ছাড়িয়েছেন।
শনিবার (২২ জুলাই) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নাহিদা আক্তারের বলে এলবিডব্লিউর আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দিলে হারমানপ্রীত ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। শুরুতে এক হাত দিয়ে থাবা মারেন আরেক হাতে ধরে রাখা ব্যাটে। আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে থাকেন আগুন দৃষ্টিতে। এরপর ব্যাট দিয়ে স্টাম্পে এতটাই জোরে মারেন যে, একটি স্টাম্প উড়ে গিয়ে পড়ে অনেকটা দূরে। ক্রিজ ছেড়ে যাওয়ার সময় আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে থাকেন টানা। এরপর ড্রেসিং রুমে ফেরার পথে গ্যালারির দর্শকদের উদ্দেশে দেখান ‘থামস আপ’।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের সময়ও অসন্তোষ ফুটে ওঠে ভারতীয় অধিনায়কের আচরণ ও কথায়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হারের পেছনে কারণ কী ছিল জানতে চাইলে তিনি সরাসরি আম্পায়ারিংকে দায়ী করেন। বলেন, ‘প্যাথেটিক আম্পায়ারিং’। কিন্তু প্রকাশ্যে এতটা ঢালাওভাবে আম্পায়ারিংকে কাঠগড়ায় তোলার নজির আধুনিক ক্রিকেটে বিরল।
এটুকু বলেই ক্ষান্ত হননি ভারতীয় ক্যাপ্টেন। ট্রফি ও পতাকা নিয়ে উল্লাস করতে থাকা বাংলাদেশ দলের দিকেও কটূ মন্তব্য ছুড়ে দেন ভারতীয় অধিনায়ক। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উদ্দেশে তিনি বলতে থাকেন, এই ম্যাচ বাংলাদেশ জেতেনি, আম্পায়াররা জিতিয়েছে। ফটোসেশনে যেন আম্পায়ারদেরও ডেকে নেওয়া হয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা এক পর্যায়ে রেগেমেগে দল নিয়ে ড্রেসিংরুমে চলে যান।
তবে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে হারমানপ্রীতের স্ট্যাম্প ভাঙার ঘটনাকে ‘হিট অব দ্য মোমেন্টে’ ঘটে যাওয়া এবং অনাকাঙ্খিত ঘটনা বলে মন্তব্য করেন ভারতের সহঅধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানা। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে হারমানপ্রীতের অমন উগ্র ও বাজে আচরণকে আমলে নিতেও অনীহা স্মৃতি মান্ধানার।