আল-হিলালের জয় ছাপিয়ে রোনালদোর কান্না
ক্যারিয়ারে পাওয়া না পাওয়ার হিসাবটা পেছনে ফেলে এসেছেন। ৪০ বছর বয়সে এসে আর কীইবা চাওয়ার আছে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। বিশ্বকাপ হয়তো জেতেননি, সমকালের সেরাও হয়তো হতে পারেননি। তবু, কালের পাতায় তিনি তো অমর হয়েই রবেন।
নামটি যখন রোনালদো, তখন শেষবেলায়ও জয়ের ক্ষুধা তীব্র। না হলে আল-নাসেরের জার্সিতে একটি ফাইনাল হেরে কেন কাঁদবেন তিনি? ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় সৌদি আরবে পাড়ি জমান রোনালদো। দেশটির ফুটবলের চিত্রই বদলে দিয়েছেন তিনি। ইতোমধ্যে গড়েছেন একাধিক রেকর্ড। এই তো কদিন আগেই সৌদি প্রো লিগের ইতিহাসে এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার রেকর্ড গড়লেন।
তবে, রোনালদোর কাছে আল-হিলাল যেন এক রহস্যের নাম। সৌদিতে সব জয় করলেও বারবার তাদের কাছে এসেই থমকে যান তিনি এবং তার দল। লিগে দুর্দান্ত খেলেও দ্বিতীয় হতে হয় আল-নাসেরকে। শিরোপা জেতে আল-হিলাল। কিংস ফাইনালেও এবার হিলালের কাছে পরাস্ত হতে হলো নাসেরকে।
কিংস ফাইনালে আজ শনিবার (১ জুন) টাইব্রেকারে ৫-৪ গোলে হারে আল-নাসের। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। ম্যাচ জিতে হিলালের ফুটবলারদের উল্লাস ছাপিয়ে গেছে রোনালদোর কান্না। ক্যামেরার সব চোখ যেন তার হেঁটে যাওয়া পথের দিকে। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হারার পর কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছাড়েন সিআরসেভেন। যা ছুঁয়ে গেছিল প্রবল নিন্দুককে। এবারও কাঁদলেন, মাঠ ছাড়লেন ভেজা চোখে।
কিংস কাপের মতো টুর্নামেন্টে হেরেও রোনালদোর কান্না বুঝিয়ে দেয়, তিনি এখনও সমানভাবে জিততে চান। ২০০৪ ইউরোর ফাইনালে গ্রিসের কাছে হারের পর যেভাবে কেঁদেছিলেন ১৯ বছরের এক যুবক, দুই যুগ পর প্রায় সর্বজয়ী হয়েও একই নেশা। জিততে হবে যে কোনো মূল্যে।