তানজিদের বিদায়, দ্রুত রান তোলার আশায় বাংলাদেশ
জয়ের জন্য লক্ষ্যটা সহজ। তবে, সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে বেশ কঠিন। কারণ বাংলাদেশকে জিততে হবে ১২.১ ওভারে। এই চাপ মাথায় রেখে ১১৬ রানের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় প্রথম ওভারটা দারুণ করে বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে স্কোরবোর্ডে তোলে ১৬ রান। তবে দ্বিতীয় ওভারেই তানজিদ তামিমকে হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।
বল হাতে কাজটা দারুণভাবে সামলেছে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানকে আটকে দিয়েছে অল্পতেই। সুপার এইটের শেষ ম্যাচটিতে বাংলাদেশের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ১১৬ রানের। তবে সেমিফাইনালে যেতে হবে বাংলাদেশ ১২.১ ওভারের মধ্যে জিততে হবে।
অন্যদিকে আফগানিস্তানের যে কোনো ব্যবধানে জিতলেই হবে। জিতলে তারাই খেলবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। আর বাংলাদেশ যদি ১২.১ ওভারে জিততে পারে তাহলে শেষ চারে উঠবে বাংলাদেশের নাম।
বাংলাদেশের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১৫ রান তুলেছে আফগানিস্তান।
এই ম্যাচে জিতলে সরাসরি সেমিফাইনালে যাবে আফগানিস্তান। অন্যদিকে সেমির স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে বাংলাদেশকে ১২ওভারের মধ্যেই তাড়া করতে হবে আফগানিস্তানের লক্ষ্য।
সেন্ট ভিনসেন্টে টস জিতে ব্যাটিং বেঁছে নেয় আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করতে নেমে বেশ সতর্ক শুরু করে আফগানরা। বোলিংয়ের শুরু থেকেই অসম বাউন্স। বলও লাফাচ্ছে। এমন কন্ডিশনে রানের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখলেও পাওয়ার প্লেতে উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
প্রথম ৬ ওভারে অবশ্য আফগানিস্তানও তেমন সুবিধা করতে পারেনি। পাওয়ার প্লেতে মাত্র ২৭ রান রান তোলেন দুই ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান।
১১তম ওভারে এসে অবশেষে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সেই স্বস্তি এনে দেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশি লেগ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বল ইনসাইড আউট শট খেললেন ইব্রাহিম জাদরান। ঠিকঠাক টাইমিং পেলেন না। লং অফ থেকে বাঁ দিকে অনেকটা দৌড়ে এসে ক্যাচ তুলে নেন তানজিম সাকিব। ১ চারে ২৯ বলে ১৮ রান করে ফিরেন জাদরান। ৫৯ রানে ভাঙল আফগানিস্তানের উদ্বোধনী জুটি।
এরপর অবশ্য উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। ১৬তম ওভারে এসে আজমতউল্লাহ ওমারজাইকে কট বিহাইন্ড করে বিদায় করেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১২ বলে ১০ রান করে থামেন ওমরজাই।
পরের ওভারে আসেন রিশাদ। এসেই তুলে নেন জোড়া উইকেট। প্রথমে বিদায় করেন উইকেটে জমে যাওয়া রহমানউল্লাহ গুরবাজকে। রিশাদের বল মাঠের বাইরে পাঠাতে গিয়ে ডিপ কাভারে সৌম্যের হাতে ধরা পড়েন গুরবাজ। ৫৫ বলে ৪৩ রানে থামে তার ইনিংস।
একই ওভারে গুলবাদিন নায়েবকেও বিদায় করেন রিশাদ। একই ফিল্ডার সৌম্যের হাতে ক্যাচ বানিয়ে তুলে নেন নিজের তৃতীয় শিকার।
১৮তম ওভারে তাসকিন আহমেদ বিদায় করেন মোহাম্মদ নবিকে। একের পর এক উইকেট হারিয়ে শেষ দিকে রশিদের ব্যাটে চড়ে ১১৫ রানের পুঁজি পায় আফগানিস্তান। শেষ দিকে নেমে ১০ বলে ১৯ রান করেন রশিদ খান।
বল হাতে ২৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট পান রিশাদ হোসেন। ১২ রান খরচায় তাসকিন আহমেদের শিকার একটি। ১৭ রান দিয়ে মুস্তাফিজও নেন এক উইকেট।