দর্শকদের জয় উপহার দিতে চান সোহেল

হামজা চৌধুরী-শমিত সোমদের আগমনে বদলে গেছে দেশের ফুটবল। নতুন প্রাণ সঞ্চার হয়েছে ফুটবলে। বেড়েছে দর্শক জনপ্রিয়তাও। আসন্ন হংকং ম্যাচের টিকিট উন্মুক্ত করার মাত্র আধঘণ্টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে। এর আগে সিঙ্গাপুর ম্যাচেও একই চিত্র দেখা গেছে। তবে দর্শকদের চাওয়া কতটা পূরণ করতে পারছেন ফুটবলাররা? সেই প্রশ্নও তোলা যায়।
হংকং ম্যাচকে সামনে রেখে আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) প্রথম দিনের অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। অনুশীলনের ফাঁকে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন মিড ফিল্ডার সোহেল রানা। এবার হংকং ম্যাচে দর্শকদের সেই চাওয়া পূরণের লক্ষ্য জানালেন তিনি।
সোহেল বলেন, ‘তাড়াতাড়ি টিকিট সোল্ড আউট হওয়াটা ফুটবলের জন্য ইতিবাচক এক বার্তা। একইসঙ্গে আমাদের খেলোয়াড়দের দায়িত্ব আরও বেড়ে যায়। কারণ সিঙ্গাপুর ম্যাচেও একই জিনিস ঘটেছে। দর্শকেরা চাচ্ছিল ম্যাচটা যেন আমরা জিততে পারি, কিন্তু পারিনি। তাই এই জিনিসটা খেলোয়াড়দের মধ্যে কাজ করছে, যেন আমরা ফল উপহার দিতে পারি দেশকে। কোচ এটা নিয়ে কাজ করছে।’
হংকংয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে ঘরের মাঠ জাতীয় স্টেডিয়ামে। যেখানে পুরো গ্যালারি সাজবে লাল-সবুজের জার্সিতে। গলা ফাটাবে হামজা-শমিত-জামালদের জন্য। যেটা বাংলাদেশকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে বলে মনে করেন সোহেল।
অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সোহেল বলেন, ‘হংকংয়ের ম্যাচে চাইব, ঘরের মাঠে যেন আমরা জিততে পারি। সমর্থকেরা যেভাবে আমাদের সমর্থন করে মাঠে আসে। এটা অবশ্যই খেলোয়াড়দের বাড়তি প্রেরণা দেবে। তাই আমরা চাইব, ম্যাচটা জিততে। কোয়ালিফাই করতে হলে এই ম্যাচটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা ম্যাচটা সেভাবেই দেখছি। যেভাবেই হোক জিততে হবে। এটাই আমাদের প্রথম ফোকাস।’
ঘরের মাঠে এই ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সোহেল। তিনি বলেন, ‘হংকংয়ের বিপক্ষে যে কাজগুলো করতে হবে, সেগুলো যদি সঠিকভাবে না করতে পারি, তাহলে আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়বে। আমরা বিশ্বাস করি, হংকংয়ের বিপক্ষে আমরা জেতার মতো দল আছে। এই আত্মবিশ্বাস আমাদের মধ্যে আছে। বিশ্বাস করি ম্যাচটা জিততে পারব।’
বাংলাদেশ দল এখন বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ, বিশেষ করে হামজা-শমিতদের আগমণে দেশের মিডফিল্ডার দিতে হচ্ছে কঠিন পরীক্ষা। জামাল ভূঁইয়াও নিয়মিত সুযোগ পাচ্ছেন না শুরুর একাদশে। সেই প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে সোহেলকেও। তবে তিনি সেটাকে ব্যক্তিগতভাবে না নিয়ে দলের জন্য ভালো হিসেবেই দেখছেন।
সোহেল বলেন, ‘একটা দলের যত চ্যালেঞ্জ থাকবে, সেটা দলের জন্য ভালো। এই চ্যালেঞ্জটা থাকা উচিত। একই পজিশনে দুই-তিন-চারজন খেলোয়াড় আছে, সেটা ব্যক্তিগতভাবে নিচ্ছি না, বরং দলের শক্তি হিসেবেই বিবেচনা করছি। প্রত্যেক পজিশনে যদি খেলোয়াড় থাকে, তাহলে এটা দলের জন্যই ভালো। আর এটা অবশ্যই ভালোভাবেই দেখতেছি।’