হামজার গোলের পরও সমতা নিয়ে বিরতিতে বাংলাদেশ

শক্তি-সামর্থে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ খানিকটা এগিয়ে হংকং। প্রথমার্ধের প্রায় পুরো সময়টা হামজা চৌধুরী-তারিক কাজীরা প্রমাণ করলেন পরিসংখ্যানই সব নয়। আক্রমণাত্মক ফুটবলে চেপে ধরল সফরকারীদের। শুরুতেই গোলও পেল। কিন্তু শেষ মুহূর্তের গোল হজমের সেই পুরোনো রোগ সারাতে পারল না বাংলাদেশ। ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে গোল হজম করে বসল আবারও।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঘরের মাঠে হংকংয়ের বিপক্ষে ১-১ গোলের সমতা নিয়ে প্রথমার্ধের বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণ সামলে আক্রমণের চেষ্টা করছিল বাংলাদেশ। সেই চেষ্টার ফলাফল আসে ১৩ মিনিটেই। বাংলাদেশকে এগিয়ে নেন হামজা। বক্সের বাইরে সেটপিস পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সেটপিস থেকে দৃষ্টি নন্দন গোল করলেন চৌধুরী সাহেব। বক্সের বামপ্রান্ত থেকে বাঁকানো শটে কাপিয়ে দেন হংকংয়ের জাল। গোলরক্ষক বলের লাইনে গেলেও সেটি আটকাতে পুরোপুরি পরাস্ত হন।
হামজার এই গোলটি দেখে আর্জেন্টাইন ফুটবল জাদুকর লিওনেল মেসির কার্বন কপি মনে হবে আপনার কাছে।
লাল-সবুজের জার্সিতে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে দ্বিতীয় গোল করলেন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হামজা। সতীর্থকে দিয়ে করিয়েছেন আরও এক গোল। এতে ম্যাচের শুরুতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের ৩৮ মিনিটে আবারও আক্রমণে ওঠেছিল বাংলাদেশ। হংকংয়ের বক্সের মাথায় হামজার কাছে থেকে বল পেয়ে সেটি উড়িয়ে মারেন সোহেল রানা জুনিয়র। এর তিন মিনিট পরই একবার বাংলাদেশের জালে বল জড়িয়েছিল হংকং। কিন্তু সেটি কাটা পড়ে অফসাইডের ফাঁদে।
সবাই যখন ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যাওয়ার আশায়, তখনই ভুল করে বসে বাংলাদেশ। শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে সরব গ্যালারিতে নীরবতা ফিরিয়ে আনে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে কর্ণার পেয়েছিল হংকং। সেই সেটপিস থেকে বক্সে আসা বল কয়েক দফা চেষ্টা করেও ক্লিয়ার করতে পারেনি বাংলাদেশের ফুটবলাররা। বল জালে জড়িয়ে স্বস্তির সমতা নিয়ে মাঠ ছাড়ে হংকং।