লিগ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটাতে আলোচনা করতে চান মিঠুন

বিসিবি নির্বাচনের কিছুটা প্রভাব এবার মাঠের ক্রিকেটেও পড়ছে বলা যায়। সেটি অবশ্য জাতীয় দল নয়। বিসিবি নির্বাচনের পরে সংবাদ সম্মেলনে ঘরোয়া লিগ বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন নির্বাচনে বয়কট করা ক্লাবগুলো। সেই কারণেই এখনও শুরু হয়নি এবারের ঢাকা তৃতীয় বিভাগ ক্রিকেট লিগ। অন্যান্য বছর এই সময় টুর্নামেন্ট শুরু হলেও এ বছর এখনও কোনো আভাসও নেই।
ক্রিকেটার, কোচ, টিম বয়, ফিজিও, ট্রেনার মিলিয় প্রায় দুই হাজার মানুষ সংশ্লিষ্ট এই লিগের সঙ্গে। লিগ অনিশ্চিতায় পড়ায়, চরম উৎকণ্ঠায় আছেন সংশ্লিষ্ট সবাই, বিশেষ করে ক্রিকেটাররা।
সাধারণত ক্রিকেটারদের নানা সমস্যা নিয়ে কাজ করে থাকে কোয়াব। দীর্ঘদিন পরে গত মাসে নির্বাচন হয়েছে কোয়াবের। এতে বিপুল ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ক্রিকেটার মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথমেই বড় একটি চ্যালেঞ্জ নিচ্ছেন তিনি। ঢাকা লিগ আয়োজনে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
আজ শনিবার (১৮ অক্টোবর) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন মিঠুন। সমস্যা সমাধানে ক্লাবগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার কথা জানালেন তিনি। মিঠুন বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকার ক্লাবগুলোর সঙ্গে ক্রিকেট বোর্ডের একটা সমস্যা চলছে। এটা নিয়ে কোনো কমেন্ট করতে চাই না। খেলোয়াড়দের স্বার্থে আমরা ক্লাবগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। সামনে যে ঢাকা লিগগুলো আসবে, সেই লিগগুলো যেন আমরা খেলতে পারি। বিষয়গুলো নিয়ে উনাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। উনারা আগেই আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন। এই তথ্যটাই দিতে চাইছি।’
মিঠুন বলেন, ‘আমরা ওই প্যানেলটার সঙ্গে বসতে চাই, যারা খেলতে আগ্রহী নয় বা খেলতে চাচ্ছেন না। আমরা এটা নিয়ে উনাদের সঙ্গে আলোচনা করব। উনারা যেন খেলোয়াড়দের কথা চিন্তা করে, আমরা কীভাবে খেলা মাঠে গড়াতে পারি।’
শুধু ক্রিকেটাররাই নয়, কোচ, টিম বয়, ফিজিও, ট্রেনারসহ লিগগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট আরও অনেকেই। সবার কথাই ভাবার কথা জানালেন মিঠুন। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, ঢাকা লিগে খেলোয়াড়, কোচ, টিম বয়, ফিজিও, ট্রেনার সব মিলে দুই হাজারের বেশি এখান থেকে আয় করে। ঢাকা লিগ তাদের একটা মেইন সোর্স। এই টুর্নামেন্ট যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে দুই হাজার পরিবার হুমকির মুখে পড়বে।’
গত বছরও ঢাকা লিগগুলো ভালোভাবে হয়নি। ফিক্সিংসহ নানা ইস্যু সামনে এসেছিল। সেসব নিয়ে মিঠুন বলেন, ‘গত বছরও দেখেছেন, ঢাকা লিগ যেভাবে হয় সাধারণত, সেভাবে হয়নি। বিভিন্ন ইস্যুর কারণে খেলোয়াড়রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বছরও যদি এরকম কিছু হয়, তাহলে আমার সংশয় আছে খেলোয়াড়রা কতুটুক টিকে থাকতে পারবে। এই ইস্যুটাকে মাথায় রেখে উনাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হবে। উনারাও আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের সঙ্গে বসবেন। আশা করছি, পজিটিভ কিছু জানাতে পারব।’