ক্লাবে ফিরে কেমন করলেন হামজা-শমিত?

অক্টোবরের ফিফা উইন্ডোতে জাতীয় দলের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন হামজা চৌধুরী ও শমিত সোম। হংকংয়ের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই খেলার গতি পরিবর্তন করে দিতে দুর্দান্ত ভুমিকা রেখেছিলেন এই দুজন। প্রথম ম্যাচে লাল-সবুজের জার্সিতে প্রথম গোলও পান শমিত। একই ম্যাচে ফ্রি-কিক থেকে দারুণ এক গোল করেন হামজা।
আন্তর্জাতিক ব্যস্ততা শেষ করে দুজনই ফিরে গেছেন ক্লাব ফুটবলের লড়াইয়ে। শনিবার (১৮ অক্টোবর) দিনগত রাতে মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ফুটবলের এই দুই পোস্টারবয়। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে পোর্টসমাউথের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল হামজার লেস্টার সিটি। আর কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ভ্যানকুবারের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলে শমিতের ক্যাভালরি এফসি। কেমন করেছেন বাংলাদেশি দুই তারকা?
ম্যাচের ফলাফল অবশ্য খুব একটা ভালো হয়নি দুজনেরই। লেস্টার ড্র করেছে ১-১ ব্যবধানে। আর ক্যাভালরি ড্র করেছে ২-২ ব্যবধানে। তবে ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে বেশ ভালো করেছেন হামজা-শমিত।
লেস্টারের শুরুর একাদশে ছিলেন না হামজা। তাকে মাঠে নামানো হয় ম্যাচের ৬৫ মিনিটে। মাঠে নেমেই নিজের ছাপ রেখেছেন তিনি। পরিবর্তন এনে দিয়েছেন খেলা গতিতে। লেস্টারেও ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবেই খেলেন হামজা। মাঠে তার কাজ মূলত প্রতিপক্ষের আক্রমণ ভেস্তে দিয়ে নিজ দলের আক্রমণের সূচনা করা। হামজা সেটি ঠিকঠাক মতো করেছেন।
হামজা মাঠে ছিলেন মাত্র ২৮ মিনিট। এই সময়ে একটি গোলের সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন তিনি। একটি লং বল বাড়িয়েছিলেন সতীর্থের উদ্দেশ্যে। ঠিকঠাক দুটি ক্রস বাড়িয়েছিলেন বক্সে। এই সময়ে ১৬টি পাসের মধ্যে সবগুলো ছিল ঠিকঠাক। একটি কী পাসও করেছিলেন তিনি।
অন্যদিকে, হামজার চেয়ে বেশি সময় খেলেছেন শমিত। শুরুর একাদশে নেমে ম্যাচের ৭৪ মিনিট পর্যন্ত মাঠে ছিলেন তিনি। যদিও তার পারফরম্যান্স হামজার মতো ছিল না। শমিতের ১৮টি পাসের মধ্যে ১৬টি ছিল ঠিকঠাক। কোনো অ্যাসিস্ট বা ক্রস করতে পারেননি তিনি।
ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে ৪ নম্বরে আছে হামজার লেস্টার। আর ২৮ ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে কানাডার ঘরোয়া লিগে ৩ নম্বরে আছে শমিতের ক্যাভালরি এফসি।