১৭ বছরের অপেক্ষার অবসান নিউজিল্যান্ডের
সেডন পার্কে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সহজ জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এতে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২-০ ব্যবধানে জিতে নিল কিউইরা। আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) ইংল্যান্ডকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বাদ পেল তারা। সর্বশেষ ২০০৮ সালে তারা ঘরের মাঠে ইংলিশদের হারিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সব মিলিয়ে ১২ বছর পর ইংলিশদের বিপক্ষে এই সংস্করণে সিরিজ জিতেছে কিউইরা।
বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড। কিন্তু শুরু থেকেই নিউজিল্যান্ডের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে বিপর্যয়ে পড়ে সফরকারীরা। একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১০৫ রানে ৬ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।
তৃতীয় ওভারে বেন ডাকেটকে ১ রানে ফেরান জ্যাকব ডাফি। এরপর ষষ্ঠ ওভারে জ্যাকারি ফোকস আউট করেন ওপেনার জেমি স্মিথকে। জো রুটও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৪ বলে ২৫ রান করে ব্লেয়ার টিকনারের বলে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
এই বিপর্যয়ের মধ্যেও লড়াই চালান অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক ও জেমি ওভারটন। ব্রুক ৩৪ বলে ৩৪ রান করে উইল ইয়ংয়ের দুর্দান্ত ক্যাচে ফেরেন সাজঘরে। শেষদিকে ওভারটন ও স্যাম কারানের ৩৮ রানের জুটি গড়ে কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। ২৮ বলে ৪২ করেন ওভারটন। কিন্তু ব্লেয়ার টিকনার শেষ দিকে দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ৩৬ ওভারে ১৭৫ রানে গুটিয়ে দেন। তিনি ৮ ওভার বল করে ৩৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। এছাড়া নাথান স্মিথ নেন ২ উইকেট।
১৭৬ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই জোফরা আর্চারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে বিপদে পড়ে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইল ইয়ংকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি।
এরপর শুরুর ধাক্কাটা সামলে নিয়ে রাচিন রবীন্দ্র ও কেন উইলিয়ামসন ধীরে ধীরে দলকে স্থিতিশীল করেন। উইলিয়ামসন ১৭ রানে আউট হলেও রবীন্দ্র নিজের ছন্দে ব্যাট চালিয়ে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন।
রবীন্দ্র ৫৪ রান করে ফেরার পর ড্যারেল মিচেল দলের দায়িত্ব নেন। আগের ম্যাচের মতো এবারও তিনি দলের জয়ের ভিত গড়ে দেন। ৫৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে সিরিজে টানা দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি করেন তিনি। শেষ দিকে মিচেল স্যান্টনার ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ১৭ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে দলকে সহজ জয় এনে দেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে জোফরা আর্চার ছিলেন একমাত্র আলো ছড়ানো বোলার। ৭ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন এই পেসার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৩৬ ওভারে ১৭৫ (স্মিথ ১৩, ডাকেট ১, রুট ২৫, বেথেল ১৮, ব্রুক ৩৪, বাটলার ৯, কারেন ১৭, ওভারটন ৪২, কার্স ৩, আর্চার ২*, রশিদ ৯ ; ডাফি ৬-২-১৬-১, ফোকস ৫-০-৩৩-১, টিকনার ৮-১-৩৪-৪, স্মিথ ৫-০-২৭-২, স্যান্টনার ৮-১-৪৮-১, ব্রেসওয়েল ৪-০-১৬-১)
নিউজিল্যান্ড: ৩৩.১ ওভারে ১৭৭/৫ ( ইয়ং ০, রবীন্দ্র ৫৪, উইলিয়ামসন ২১, মিচেল ৫৬*, লাথাম ২, ব্রেসওয়েল ৫, স্যান্টনার ৩৪*; আর্চার ১০-৪-২৩-৩, কার্স ৭.১-০-৪৩-০, কারেন ৩-০২৬-০, ওভারটন ৫-০-৩৬-১, রশিদ ৮-১-৪৮-১)
ফলাফল : নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয়ী।

স্পোর্টস ডেস্ক