প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগেই জানা যাবে ফিক্সিংয়ে জড়িতদের নাম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বড় পরিবর্তন এসেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি)। শেষ হয়েছিল নাজমুল হাসান পাপনের এক যুগেরও বেশি সময়ের রাজত্ব। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকে (বিপিএল) নতুন আঙ্গিকে আয়োজন করতে স্বয়ং প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এরপর সমালোচনা ওঠেছিল বিপিএলের গত আসর নিয়ে।
বিপিএলের নানা অব্যবস্থাপনার সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় ছিল ফিক্সিংও। যেখানে আলোচনায় ছিল ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরাও। এরপর অবশ্য সেই ঘটনার তদন্ত করতে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিসিবি। লম্বা সময়ের তদন্ত শেষে গত মঙ্গলবার ৯০০ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে সেই কমিটি।
এক বিবৃতিতে বিসিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, স্বাধীন তদন্ত কমিটির দেওয়া প্রতিবেদন নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করবে না বিসিবি। তবে তাদের দেওয়া সুপারিশগুলো মাথায় রেখে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আরও তদন্ত করার কথা জানিয়েছে তারা।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহীদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল বিসিবি। সেই বৈঠক শেষে অবশ্য তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি ওঠে এসেছে। বিসিবি পরিচালক শাখাওয়াত হোসেনের কথায় অনেকটা ধারণা পাওয়া গেছে কাদের নাম আছে সেই তদন্ত প্রতিবেদনে।
শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘ড্রাফটের আগে যদি নাম (ফিক্সিংয়ে অভিযুক্তদের) পাই তাহলে ড্রাফটে তাদের নাম থাকবে না। একটা কথা মনে রাখবেন শুধু খেলোয়াড় না সাংবাদিক আছে, ম্যানেজমেন্টও আছে। শুধু খেলোয়াড় না কিন্তু।’
এর আগে গুঞ্জন ওঠেছিল তদন্ত প্রতিবেদনে যেসকল ক্রিকেটারদের নাম আছে তাদের এনসিএল টি-টোয়ন্টিতে খেলতে দেওয়া হবে না। তবে তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়ায় কোনো ক্রিকেটারকেই তখন নিষেধাজ্ঞা দিতে দেখা যায়নি। তবে বিপিএলে এমনটা হবে না বলেই জানালেন শাখাওয়াত হোসেন।
বিসিবি পরিচালক শাখাওয়াত বলেন, ‘আমরা ৯০০ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিসিবির ইন্টেগ্রিটি ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শালকে দিয়েছি। সে সবকিছু দেখে অপরাধ অনুযায়ী চার্জ ফ্রেম করবে। তারপর সে আমাদের একটা সাজেশন দেবে। সে যে চার্জ ফ্রেম করবে, সেটার উপর ভিত্তি করেই আমরা তাদের খেলতে দিব না। আমরা চাচ্ছি ড্রাফটের আগেই এটা পেতে। সুতরাং একটা টাইমলাইন আছে।’

স্পোর্টস ডেস্ক