আজিজুলের সেঞ্চুরিতে রোমাঞ্চকর জয় বাংলাদেশের
সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচেই ব্যাট হাতে ব্যর্থ ছিলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। সিরিজ বাঁচানোর শেষ ম্যাচে ব্যর্থ বাকিরা। তবে এবার দায়িত্ব নিলেন অধিনায়ক। ব্যাটহাতে সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দর চেনালেন আজিজুল হাকিম। এতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজ হার এড়ালো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল।
আজ রোববার (৯ নভেম্বর) রাজশাহী বিভাগীয় স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রানের পুঁজি দাঁড় করায় আফগানিস্তান। জবাব দিতে নেমে ২৫ বল আর ২ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। এতে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-২ ব্যবধানে ড্র করল যুব টাইগাররা।
রান তাড়ায় নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। সিরিজে প্রথমবার সুযোগ পাওয়া ওপেনার শাহরিয়ার আহমেদ ৫ বলে ৩ রান করেই বিদায় নেন। তিন নম্বরে নামা কালাম সিদ্দিকী অ্যালিনও ভালো করতে পারেননি এদিন। ফিরেছেন ২৫ বলে ১৭ রান করে।
পুরো সিরিজ জুড়ে দারুণ খেলা অলরাউন্ডার রিজান হোসেন এদিনও ভালোই শুরু করেন কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি তিনি। ফেরেন ৩৪ বলে ২৭ রান করে। এরপর মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এসে ফেরেন ১ রান করেই।
পঞ্চম উইকেটে ফরিদ হাসানকে নিয়ে ৫৪ রানের জুটি গড়েছিলেন আজিজুল হাকিম। ৪৩ বলে ২৩ রান করে ফরিদ ফিরলে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ। সেই চাপ বাড়ায় দেবাশিষ দেবা আর সামিউন বশির রাতুল দ্রুত ফিরলে।
বাকিরা যাওয়া-আসার মিছিল লম্বা করলেও ওপেনিংয়ে নেশে শেষ পর্যন্ত একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেন অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। আগের তিন ম্যাচের ব্যর্থতা দূরে ঠেলে দায়িত্ব নেন কঠিন সময়ে। বাংলাদেশ যখন হারের শঙ্কায় তখন অষ্টম উইকেটে শাহরিয়ার আল-আমিনকে নিয়ে গড়েন ৪৬ রানের জুটি।
এতে আবারও জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দেয় বাংলাদেশ শিবিরে। মাঝখানে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন আজিজুল। দল যখন জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে তখনই আউট হয়ে ফেরেন তিনি। তবে আর কোনো শঙ্কায় নয়, উইকেটে এসে প্রথম বলেই চার মেরে দেন স্বাধীন ইসলাম।
জয়ের আনন্দে মেতে ওঠে বাংলাদেশ। গ্যালারিতে আসা দর্শকরাও মেতে ওঠেন খুশিতে। হাত নেড়ে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেন ক্রিকেটারারও।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় আফগানরা। রানের খাতা খোলার আগেই রান আউটে ফেরেন খালিদ আহমাদজাই। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ফয়সাল শিনোজাদাও ফেরেন ৩ রান করেই।
তবে আরেক ওপেনার ওসমান সাদাত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন। ১০৬ বলে ৬৮ রান করে শাহরিয়ার আল-আমিনের শিকার হয়ে ফেরেন। মিডল অর্ডারে উজাইরুল্লাহ নিয়াজির ৮৬ বলে ৩২, অধিনায়ক মাহবুব খানের ৫৯ বলে ৪০, আজিজুল্লাজ মিয়াখিলের ১৬ বলে ১৯ রানে ভর করে ২০০ ছাড়ানো পুঁজি দাঁড় করায় আফগানরা। সফরকারীদের আউট হওয়া ৮ ব্যাটারের মধ্যে তিনজনই রান আউট হয়েছেন।

স্পোর্টস ডেস্ক